কলকাতা : 'অত্যাচারিত হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বসিয়ে ছিলেন সিংহাসনে, এবার তারাই তাঁকে বসর্জন দেবেন'...বললেন জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী দিলীপ ঘোষ। ভোটের ৬ দফা শেষ হয়েছে। বাকি এখনও দু’দফা। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েই দিলীপ ঘোষণা করে দিলেন ... 'খেলা শেষ' । দিলীপ ঘোষের দাবি, নির্বাচনার ৬ দফা হয়েছে, আর তাতে ইতিমধ্যেই ১৬০টি আসন পেয়ে গিয়েছে বিজেপি। বাকি আরও দুই দফা। তাতে মোট আসন ২০০ পেরিয়ে যাবে বিজেপির।
অন্যদিকে 'বিজেপিকে ৭০ পার করাতে পারবেন না' দাবি প্রত্যয়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শনিবার এক জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'বিজেপির ভাগ্য ভাল, ওরকম দুই- একজন লোক পেয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারা চেষ্টা করেও বিজেপিকে ৭০ এর বেশি সিট পাইয়ে দিতে পারবেন না।' পাশাপাশি সংযুক্ত মোর্চাকেও আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী । তিনি বলেন, কংগ্রেস , সিপিেম মিলে ২০-২৫ টা সিট পেতে পারে, কিন্তু তৃণমূলকে রোখার ক্ষমতা কারও নেই। ইলেকশন কমিশনকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন , '' তুমি কি বিজেপির আয়না নাকি ময়না? ২ দিন পর কমিশন চলে যাবে, তারপর পুলিশ অফিসারদের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছেন না, ওপর নজর রাখছি। আমি দুর্বল মানসিকতার লোক নই। ...... পক্ষপাতিত্ব করে ওদের ১০টা সিট পাইয়ে দিতে পারেন। বিজেপি ৭০টা পেতে পারে। কংগ্রেস-সিপিএম ২০-২৪। আমরা ২০০ পেরোচ্ছি। ''
অন্যদিকে আজ পর্যবেক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি ফের কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীদের ভোটের আগে আটক করার ফন্দি আঁটা হয়েছে। সেটাই প্রকাশ পেয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে। শেষ দু’দফা ভোটের আগে কিছু হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট অংশ প্রকাশ্যে এনে কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলে দিলেন তৃণমূল নেত্রী! তাঁর দাবি, হোয়াটসঅ্যাপে এই কথোপকথন হয়েছে কমিশনের পর্যবেক্ষকদের মধ্যে। চ্যাটের একাংশে উল্লেখ, তৃণমূলের গুণ্ডারা অশোকনগরের বিভিন্ন বুথে বিজেপির লোকজনকে বাধা দিচ্ছে।
চ্যাটের অন্য অংশে উপ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনের নাম করে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, শেষ ২ দফার ভোটে, যারা অশান্তি পাকাতে পারে, তাদের তালিকা সংগ্রহ করে ফেলতে হবে।
পরের মেসেজে পর্যবেক্ষকদের প্রশংসা করে লেখা, গত রাতে চিহ্নিত করা দাগীদের আটক করার জন্য ষষ্ঠ দফায় নির্বিঘ্ন ভোট সম্ভব হয়েছে।