কলকাতা: পরপর দু’ দিন রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন উপ নির্বাচন কমিশনার।


সূত্রের খবর, ভোট পরিচালনার ক্ষেত্রে কর্তব্যে গাফিলতি হলে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত আধিকারিককে সরিয়ে দেওয়া হবে, এমনও ইঙ্গিত দিয়েছেন সুদীপ জৈন।


গতকাল উপ নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন এডিজি আইন শৃঙ্খলা জ্ঞানবন্ত সিং। সূত্রের খবর, কমিশন যে হিংসামুক্ত, অবাধ নির্বাচন চায়, সেই বার্তাই দিয়েছেন সুদীপ জৈন।


এছাড়াও, ভোটের আগে বিভিন্ন জেল পরিদর্শনেরও পরামর্শ দিয়েছেন সুদীপ জৈন। কারণ ভোটকে ঘিরে সন্ত্রাস তৈরির চেষ্টা এবং ভোট প্রক্রিয়া পরিচালনার ক্ষেত্রে যাতে জেলের ভিতর থেকে কোনও ষড়যন্ত্র না হয়, সে বিষয়ে নজর রাখতে বলেছে কমিশন।


ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি জারি হতে পারে ভোটের বিজ্ঞপ্তি। জানুয়ারিতেই আসতে পারে কমিশনের ফুল বেঞ্চ। সেক্ষেত্রে এপ্রিলের মধ্যেই ভোটপর্ব শেষ করার চেষ্টা করা হবে। ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার সুদীপ জৈনের বঙ্গ সফরের শেষ দিনে এমনই সম্ভাবনার কথা উঠে এসেছে।


শুক্রবারই প্রকাশিত হতে চলেছে রাজ্যের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। তবে এরপরেও ভোটে নাম তোলা বা সংশোধনীর কাজ চলবে। এই মুহূর্তে রাজ্যের মোট নির্বাচনী বুথের সংখ্যা ৭৮ হাজার ৯০৩টি।


কিন্তু নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, করোনা পরিস্থিতিতে সেই বুথের সংখ্যাই ১ লক্ষ পেরিয়ে যেতে পারে। এদিনই দু’দিনের বঙ্গ সফর সেরে দিল্লি চলে যান ডেপুটি ইলেকশন কমিশনার।


সূত্রের খবর, জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে রাজ্যে আসতে পারে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ।আর ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে।


সেক্ষেত্রে এপ্রিলের মধ্যে বাংলায় বিধানসভার ভোটপর্ব শেষ করার চেষ্টা করা হবে।


অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গে ভোট নিয়ে আজ দিল্লির বিজেপির সদর দফতরে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। দুপুর তিনটের সময় বসবে ওই বৈঠক।


রাজ্য বিজেপির সঙ্গে জড়িত পদাধিকারীদের ওই বৈঠকে থাকার সম্ভাবনা। সূত্রের খবর, বৈঠকে উপস্থিত হতে পারেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-ও।