হাওড়া :  আক্ষরিক অর্থেই বলা চলে দুয়ারে সরকার। এবার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের পরিষেবা দিতে শয্যাশায়ী রোগীর বাড়িতে গিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরি করে হাতে তুলে দিলেন হাওড়া পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা। যে পরিষেবা পেয়ে খুশি পরিবারের লোকজন।
হাওড়া পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড শিবিরে গিয়ে করাতে পারছিলেন না অসুস্থতার কারণে। এরকমই একজন হলেন সালকিয়ার সীতানাথ বোস লেনের বাসিন্দা রীনা বসু। বছর ষাটের এই বৃদ্ধা বর্তমানে শয্যাশায়ী। কিছুদিন আগে পড়ে গিয়ে কোমরের হাড় ভেঙে যায় তাঁর।


চিকিৎসার খরচ হচ্ছে অনেক। স্বামীও অসুস্থ। ছেলে সামান্য রোজগার করেন। ফলে চিকিৎসার খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে এই পরিবার। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচার করতে হবে। এই অবস্থায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করাতে পারলে ভাল হত। কিন্তু কার্ড করাতে গেলে যেতে হবে ক্যাম্পে। কিন্তু সেটা সম্ভব ছিল না রিনা দেবীর পক্ষে।

এই পরিস্থিতিতে যখন দুশ্চিন্তার মধ্যে ছিল গোটা পরিবার, তখনই আজ দুপুরে তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে গেলেন পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা। সঙ্গে ছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ ভাস্কর ভট্টাচার্য। কিছুক্ষণের মধ্যেই ল্যাপটপ ও প্রিন্টিং স্ক্যানারের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বানিয়ে তুলে দেওয়া হল রীনা বসুর হাতে। যা দেখে অভিভূত এই বৃদ্ধা।

ভাস্কর ভট্টাচার্য জানান, রাজ্য সরকার যে উদ্যোগ নিয়েছে সেই স্বাস্থ্য পরিষেবা অর্থাৎ বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার, তা কার্যকরী করতে তাঁরা বদ্ধপরিকর। সেই কাজ চলছে জোরকদমে। কিন্তু যে সমস্ত মানুষ অসুস্থতার কারণে হাঁটাচলা করতে পারছেন না, তাঁদের কথা ভেবে বাড়িতে গিয়ে কার্ড বানিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়।

আজ থেকে এই কর্মসূচি শুরু করা হল। জেলায় প্রথম এই ধরনের কর্মসূচিতে বাড়িতে বসেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পেলেন রীনা বসু। আর এই পরিষেবা পেয়ে খুশি তিনি। জানালেন, এবার খুব দ্রুত অপারেশন করানো যাবে। কারণ, টাকার চিন্তা আর রইল না।