কলকাতা: রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত শুরু ফের একবার। এদিন, মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যাগ করে ট্যুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ভোটারদের স্বার্থে ভয়ের পরিবেশ দূর করতে হবে বলে দাবি করেন তিনি। তার বার্তায় যে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অভাব স্পষ্ট, সেই আক্রমণই রয়েছে সরাসরি। যার পাল্টা ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ‘ভয়ের আবহ তৈরি করার চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল।'
জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষ্যে করা রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের ট্যুইট, ‘ভোটদাতাদের ক্ষমতা, নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। ভোটারদের স্বার্থে ভয়ের পরিবেশ দূর করতে হবে। রাজ্যে পুলিশের রাজনৈতিক নিরপেক্ষতার যে অভাব রয়েছে, তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে।'
রাজ্যপালের যে বার্তা পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই পাল্টা দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, ‘ফিয়ারফোবিয়া তৈরি করার চেষ্টা করছে বিজেপি ও রাজ্যপাল। আসলে নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা, বিজেপি জানে তারা হেরে যাবে, তাই ভয়ের আবহ, মুখ্যমন্ত্রীকে ডেকে নিয়ে গিয়ে অপমান এইসব করছে ওরা।'



এখনও রাজ্য রাজনীতি তপ্ত ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে নেতাজি জন্মজয়ন্তীর সরকারি অনুষ্ঠানে হওয়া রাজনৈতিক পর্ব নিয়ে। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখতে উঠলে ভেসে এসেছিল ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি। যার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগরে দিয়ে বক্তব্য রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী। আমন্ত্রণ জানিয়ে অপমান করা হয়েছে বলেই মঞ্চ থেকেই বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যা নিয়ে চলছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ভিক্টোরিয়ার অনুষ্ঠানমঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও। গোটা পর্ব নিয়ে মুখ খোলেননি তিনি।
কিছুদিন আগেই রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ও তাঁর স্ত্রী-র সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতও করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে সাক্ষাৎ সৌজন্যমূলক হলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত নতুন নয়।
রাজ্যপাল ২০১৯ সালের মাঝামাঝি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একাধিকবার রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাত দেখেছে বঙ্গবাসী। রাজ্যের প্রতি আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে প্রশাসনের রাজনীতিকরণের অভিযোগ বারবার এনেছেন তিনি। আগেও বারবার রাজ্যে শাসনের অভাব, আইন শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে মুখ খুলেছিলেন তিনি।
এবার ভোটমুখী বঙ্গে ভোটারদের মন থেকে ভয়ের পরিবেশ দূর করার রাজ্যপালের বার্তায় সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যাগ করায় রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতের পারদ চড়বে বলেই মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল।