সূত্রের দাবি, এই তালিকায় আছে মালদার গাজোল, উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট উত্তর, পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর পূর্ব এবং বাঁকুড়ার ছাতনা বিধানসভার নাম। ২০১৬-তে এই ৪টি আসনে জয়ী হয়েছিল বামেরা।জট বেধেছে সেখানে।
সূত্রের দাবি, কংগ্রেসের তালিকায়, কলকাতার ৬টি গুরুত্বপূর্ণ আসন আছে।যার মধ্যে পড়ছে মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী কেন্দ্র ভবানীপুর,পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের নির্বাচনী কেন্দ্র কলকাতা বন্দর,পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নির্বাচনী কেন্দ্র বালিগঞ্জ,বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের নির্বাচনী কেন্দ্র রাসবিহারীর মতো কেন্দ্র।
এছাড়াও উত্তর ২৪ পরগনার ৩৩টির মধ্যে ১৭টি,মুর্শিদাবাদের ২২টি আসনের মধ্যে ১৮টি চেয়েছে কংগ্রেস।
সূত্রের খবর, কংগ্রেসের দাবি নিয়ে বামেদের অন্দরে প্রশ্ন উঠছে,কীসের ভিত্তিতে গতবারের তুলনায় বেশি আসন চাইছে কংগ্রেস?কেনই বা বামেদের জেতা আসনও দাবি করা হচ্ছে?
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছেন, ৫ বছর আগে যে পরিস্থিতি ছিল, আজকে সেই রাজনৈতিক পরিস্থিতি আছে তেমন নয়। অনেক বদলেছে, আমরা একটা আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছি, আলোচনা হবে, আমরা তো অনমনীয় নয়, যে দিতেই হবে।
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, আমাদের মূল লক্ষ্য তৃণমূল এবং বিজেপিকে হারানো। যে যেখানে জেতার মতো পরিস্থিতিতে আছে, সেখানে তাদেরই লড়া উচিত। ঐক্যবদ্ধভাবেই লড়তে হবে। কোনও বিষয়ে, কোনও পক্ষেরই অনমনীয় হওয়া উচিত নয়।
এই পরিস্থিতিতে সোমবার ফের বৈঠকে বসছেন বাম ও কংগ্রেস নেতারা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ওই বৈঠকে থাকবেন না বলে সূত্রের খবর। তবে ২৮ জানুয়ারির বৈঠকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী থাকবেন বলে জানা গেছে।
দর কষাকষি চলছে, কিন্তু দু’দলই বুঝে গেছে যে জোট করা ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই, ফলে কত তাড়াতাড়ি এই আসন সমাঝোতায় ইতি টানা যায়, সেদিকেই তাকিয়ে আছেন সমর্থকরা।