ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: দিলীপ ঘোষের কার্যালয়ে ইন্টার্ন নিয়োগ হচ্ছে! হ্যাঁ, ঠিক শুনেছেন। রীতিমতো, বিজ্ঞাপনের ধাঁচে সাংসদ দিলীপ ঘোষের লেটারহেড যুক্ত প্যাডে ইচ্ছুক ইন্টার্নদের আবেদধপত্র চাওয়া হয়েছে।
রাজ্য বিজেপি সভাপতির কার্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে ইতিমধ্যে চারজনকে নিয়োগ করাও হয়ে গিয়েছে। এ ছাড়াও আবেদন জমা পড়েছে শতাধিক।
কি বলা হয়েছে ওই লেটারহেডে?
বলা হয়েছে, যে চারটে বিষয়ে ইচ্ছুক ইন্টার্নরা আবেদনপত্র পাঠাতে পারেন। যে চারটে বিষয় ইন্টার্নদের আবেদনপত্র চাওয়া হয়েছে তা হল - আইন বিষয়ক (লিগ্যাল), গ্রাফিক্স, রাজনৈতিক (পলিটিক্যাল) এবং সামাজিক (Social) মাধ্যম। আবেদনকারীরা পড়ুয়াও হত পারেন। কাজের সময় সকাল ১১টা থেকে সন্ধে ৬টা। বিষয় অনুযায়ী ওয়ার্ক ফ্রম হোম ও করা যেতে পারে।
ইতিমধ্যে, চারজনকে নিয়োগ করা হয়ে গিয়েছে বলে জানানো হয়েছে কার্যালয়ের তরফে। আইনের বিষয়ে ইন্টার্নরা দলের আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেবেন।
এছাড়া দল ও রাজ্য সভাপতির আইনি সমস্যা কিভাবে কাটিয়ে এগনো যায় তা নিয়ে এবং সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে খসড়া তৈরি করবে। আইনি ঝুঁকির বিষয়েও সতর্ক করবে ওই বিভাগ।
এরপর আছে গ্রাফিক্স ইন্টার্ন। এই বিভাগের নিযুক্তদের কাজের মধ্যে থাকবে বিভিন্ন চিত্তাকর্ষক পোস্টার, অনলাইন ভিডিও ক্লিপ, মিম বানিয়ে প্রচারের ঝড় তোলা।
সামাজিক মাধ্যম বিভাগে দায়িত্ব থাকবে থাকা ইন্টার্নদেরও বিভিন্ন বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে। সামাজিক মাধ্যমে কিভাবে প্রচার আর প্রভাব বাড়ানো যায়।
কোন বিষয় নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কোন পোস্ট সোস্যাল মিডিয়া দখল করছে সেটাই মূল্যায়ণ করতে হবে। একইভাবে রাজনৈতিক বিভাগের ইন্টার্দের দায়িত্ব থাকবে কিভাবে প্রচার আর প্রভাব বাড়ানো যায়। কোন বিষয় নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কোন বিষয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু দখল করছে সেটাই মূল্যায়ন করতে হবে।
উল্লেখ্য, এরাজ্যে এরকমভাবে কোনও নির্বাচনের সময় নানা বিষয়ে ইন্টার্ন নিয়োগের জন্য আবেদনপত্র চাওয়ার ঘটনা রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা দেখেননি।
যদিও, ২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলীয় কার্যালয়ে আইআইএম -এর দু'জন ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়া পাঠ্যক্রমের অঙ্গ হিসেবে ইন্টার্নশিপ করতে আসেন। সংবাদমাধ্যমেও তা শিরোনাম হয়েছিল।