আশাবুল হোসেন, কলকাতা:  আজ কালীঘাটে তৃণমূলের নির্বাচন কমিটির বৈঠক।  সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ২৯৪ কেন্দ্রের দলের প্রার্থী তালিকা তৈরি। এই প্রার্থী তালিকা তৈরি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


সূত্রের খবর, প্রায় ৪০ জন নতুন মুখ তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় থাকতে পারে। পাশাপাশি, তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় সমাজের সর্বস্তরের প্রতিনিধিদের দেখা যাবে বলেও সূত্রের খবর।  


শুক্রবার ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ওইদিন থেকেই চালু হয়েছে আদর্শ আচরণবিধি। 


আর সেদিনই ১২ জনের নির্বাচন কমিটি গঠন করেছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কমিটিতে আছেন সুব্রত বক্সি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সৌগত রায় প্রমুখ। 


আজ বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ শুরু হয় বৈঠক। তার আগে, নির্বাচনী কমিটির ১২ জন সদস্য একে একে এসে উপস্থিত হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে ছিলেন ওই বৈঠকে।


মিনিট কুড়ি বৈঠক থেকে বেরিয়ে তিনি নবান্নে চলে যান। মমতা বেরিয়ে গেলেও, কমিটির বাকি সদস্যরা দীর্ঘ বৈঠক করেন।



সূত্রের দাবি, খসড়া প্রার্থীতালিকার পাশাপাশি, নির্বাচনী প্রচার নিয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। কীভাবে প্রচারাভিযান চলবে, কোন কোন বিষয়গুলি মানুষের কাছে তুলে ধরা হবে-- সে সব নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। আজ বিকেল চারটেয় আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেল চারটেয় নবান্নে হবে বৈঠক। নির্বাচনী সমঝোতা নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা। 


মমতা-তেজস্বী বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সূত্রের খবর, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বেশ কয়েকটি আসনে প্রার্থী দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে আরজেডি। 


ইতিমধ্যেই, রাজ্যের শাসক দলকে সমর্থনের কথা জানিয়েছে সমাজবাদী পার্টি ও এনসিপি। সূত্রের দাবি, মমতাকে চিঠি লিখে সমর্থনের কথা জানিয়েছেন অখিলেশ যাদব ও শরদ পওয়ার।


অন্যদিকে, প্রার্থী ঘোষণার আগেই অত্যুৎসাহী কিছু তৃণমূল সমর্থকেরা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম দেওয়ালে প্রার্থী হিসেবে লিখে ফেললেন।  অভিযোগ, তৃণমূল নেতা নেহাল আলী এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন।  ঘটনার পরেই খাদ্যমন্ত্রীর ধমকে ফের সেই দেওয়ালের সামনে নামের জায়গায় কাপড় টাঙিয়ে আড়াল করা হল।  


এমনই আজব ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা হাবরা বিধানসভা বদর এলাকায়।  হাবরা এক পঞ্চায়েত সমিতির কর্মদক্ষ নেহাল আলি গতকাল দেওয়ালজুড়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে বসেন।


মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছে ধমক খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সে দেওয়ালের উপরে পর্দা টানিয়ে আড়াল করে দেওয়া হয়।  ঘটনাটি নিয়ে বিদ্রুপ করতে ছাড়েনি স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।