রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: রথে আর বাইকে টক্কর। নাগরাকাটায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভার আগে বিজেপি ও তৃণমূলের কর্মসূচি ঘিরে জলপাইগুড়ি জমজমাট। চড়ছে পারদ। বাড়ছে তরজা।
বিজেপির রথযাত্রা আর তৃণমূলের বাইক মিছিল। যুযুধান দুই রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিকে ঘিরে ভোটের মুখে সরগরম জলপাইগুড়ি।
নাগরাকাটা, মালবাজার, ধুপগুড়ি, ময়নাগুড়ি --- চার বিধানসভা কেন্দ্র হয়ে শুক্রবার জলপাইগুড়ি শহরে পৌঁছয় বিজেপির পরিবর্তন যাত্রার রথ। পাহাড়পুর মোড়ে রথকে অভ্যর্থনা জানান গেরুয়া শিবিরের নেতানেত্রীরা।
রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, ‘‘এবার আমরা পুলিশের অনুমতি নিইনি। পুলিশও জানে আর রক্ষে নেই। পরিবর্তন হচ্ছেই। যাত্রা যত এগোবে সাড়া তত বাড়বে ৷’’
তৃণমূলের তপশিলি জাতি ও উপজাতি সেলের সভাপতি কৃষ্ণ দাস বলেন, বিজেপি যেভাবে বলছে ২০০ আসন নেব, তার জন্য আমরাও প্রস্তুত। খেলা দেখিয়ে দেব। এমন গোল দেব দিশা পাবে না।
'পরিবর্তনের পদ্ম' ফোটাতে বিজেপির রথ যখন একপ্রান্ত থেকে আরেকপ্রান্তে জনসংযোগ বার্তা নিয়ে দৌড়চ্ছে, তখন শক্তি প্রদর্শনে বাইকে সওয়ার তৃণমূল। শনিবার নাগরাকাটার ইউরোপিয়ান ক্লাব মাঠে জনসভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে এদিন জলপাইগুড়ি লাগোয়া বেশ কিছু এলাকা ও রাজগঞ্জে বাইক মিছিল করে তৃণমূল। ডিজে বাজিয়ে চলতে থাকে ‘খেলা হবে’ স্লোগান।
এনিয়ে কটাক্ষ করে রাজ্য বিজেপি সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, ‘‘কাল অভিষেক ঘুরতে আসছেন। চাবাগান দেখেননি জীবনে। আসুক, দেখুক, চা খাক, চলে যাক। আর উনি বালির হিসেব করতে আসছেন। বালির কত এল আর কত গেল...৷’’
তৃণমূলের তপশিলি জাতি ও উপজাতি সেলের সভাপতি কৃষ্ণ দাস বলেন, ‘‘বাইক র্যালির মধ্যে দিয়ে বিজেপিকে বার্তা দিতে চাই আমরা কতটা শক্তিশালী। সাতটা বিধানসভা আসনেই জিতবে তৃণমূল। অবশ্যই খেলা হবে ৷’’
একদিকে ‘জয় শ্রীরাম’, আরেক দিকে ‘খেলা হবে’, দুই শিবিরের স্লোগানে তিস্তা আর করলা পাড়ের শান্ত শহরে এখন যেন রণহুঙ্কার...