শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: কোচবিহারের ‘জয়ী’ সেতুর উদ্বোধন হয়েছে। কিন্তু, এক মাস হতে চললেও, এখনও তৈরি হয়নি সেতুতে ওঠার রাস্তা। ফলে, ছোট গাড়ি চলাচল করলেও, সেতু দিয়ে ভারী গাড়ি যাতাযাত করতে পারছে না। যা নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে তৃণমূল ও বিজেপির তরজা।


একটা সেতু শুধু দু’পাড়ের মধ্যে নয়, দু’পাড়ের মানুষের মধ্যেও সেতুবন্ধন করে। কিন্তু রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে কোচবিহারে সেই সেতু নিয়েই তুঙ্গে উঠেছে তৃণমূল ও বিজেপির চাপানউতোর। পয়লা ফেব্রুয়ারি উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে শিলিগুড়ি থেকে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে তিস্তা নদীর উপর ‘জয়ী’ সেতুর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


৩ কিলোমিটার লম্বা এই সেতু, কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ থেকে হলদিবাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ সুগম করবে। আগে মেখলিগঞ্জ থেকে হলদিবাড়ি যেতে জলপাইগুড়ি ঘুরে প্রায় ৮০ কিলোমিটার পথ যেতে হত। নতুন এই সেতু তৈরি হওয়ায়, সেই পথ কমে হয়েছে প্রায় ১৪ কিলোমিটার। কিন্তু, উদ্বোধন হলেও, এই সেতু এখনও পুরোপুরি চালু হয়নি। তৈরি হয়নি সেতুতে ওঠার রাস্তাও। যার ফলে, ছোট গাড়ি চলাচল করলেও, ‘জয়ী’ সেতুর উপর দিয়ে ভারী গাড়ি যাতায়াত করতে পারছে না। ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।


এনিয়ে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। মেখলিগঞ্জ শহর মণ্ডলের বিজেপি সাধারণ সম্পাদক আশিকার রহমান বলেছেন, ‘নির্বাচনের আগে মেখলিগঞ্জ ও হলদিবাড়ির মানুষকে ভুল বোঝাতেই তড়িঘড়ি এই সেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে। আর পুরোটার মধ্যেই রয়েছে রাজনীতি।’


পাল্টা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বক্তব্য, ‘এত বড় কাজ, একটু সময় লাগবেই। কারণ ওখানে রাস্তা বাকি আছে। বিজেপি রাজনীতি করছে।’


ভোটে কে জয়ী হবে, তা ভোটের ফলেই বোঝা যাবে, তবে আর আগে জয়ী সেতু নিয়ে রাজনৈতিক যুদ্ধ তুঙ্গে।