উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় ও ঋত্বিক মণ্ডল:  বিধানসভা ভোটে বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে আব্বাস সিদ্দিকির জোট হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আরও বাড়ল।


মিমকে সঙ্গে রেখে জোট গঠনের পক্ষে সওয়াল করলেন ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকি।  পত্রপাঠ সেই সম্ভাবনা খারিজ করে দিলেন অধীর চৌধুরী।  যদিও, এ নিয়ে এখনই মন্তব্য করতে নারাজ সিপিএম।


এখন পর্যন্তও আসন সমঝোতা নিয়ে কংগ্রেস, বাম ও আইএসএফ-র মধ্যে কখনও দ্বিপাক্ষিক, কখনও ত্রিপাক্ষিক ১০টি বৈঠক হয়েছে।  আইএসএফ ধর্মনিরপেক্ষ ফ্রন্ট বলেই তাদের সঙ্গে নিতে রাজি হয়েছিল কংগ্রেস ও বাম।


বামেদের সঙ্গে আইএসএফ-এর আসন সমঝোতা প্রায় চূড়ান্ত হলেও, কংগ্রেসের সঙ্গে জট এতদিন কাটেনি। আইএসএফ-এর দাবিমতো আসন ছাড়তে এখনও রাজি নন অধীর চৌধুরীরা।


এরইমধ্যে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে যৌথ আবেদনপত্র প্রকাশিত হয়েছে। বাম ছাড়া সেই আবেদনপত্রে নাম রয়েছে কংগ্রেস ও আইএসএফ-এর। 


কিন্তু মিমকে সঙ্গে নেওয়ার পক্ষে আব্বাসের সওয়ালের পর অন্য জটিলতা তৈরি হয়েছে।  আর এবারের জটিলতা জোটের আদর্শ, নীতি ও চরিত্র নিয়ে।  বিশেষ করে মিমের প্রশ্নে আব্বাস সিদ্দিকির বক্তব্যকে গিরে এই জটিলতা এক অন্য মাত্রা পেয়েছে।


ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকি বলেন, মিমকে সঙ্গে রাখা দরকার, নাহলে বিহারের মতো অবস্থা হবে।  মিমকে রাখা যাবে না, এমন কোনও শর্ত কোনও বৈঠকে কেউ চাপায়নি।


আসাদউদ্দিন ওয়েইসির মিম নিয়ে আব্বাসের এই প্রস্তাব পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। সিপিএম এখনই এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ।  তবে মিমকে নিয়ে যে তাদের আপত্তি রয়েছে, তা আগেই স্পষ্ট করেছে বামেরা।


এরইমধ্যে মেটিয়াবুরুজে বৃহস্পতিবার মিমের যে সভা ছিল, পুলিশের অনুমতি না মেলায় তা স্থগিত করা হয়েছে। মিম হাইকোর্টে সময়মতো যেতে না পারায় তাদের আবেদনও লিস্টে ওঠেনি। তবে মিমের দাবি, আগামী মার্চে আইএসএফ-কে সঙ্গে নিয়ে ব্রিগেডে সমাবেশ করবে তারা।


এই পরিস্থিতিতে বড় প্রশ্ন হল, আদৌ কি ফুরফুর শরিফের পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে বাম-কংগ্রেসের জোট হবে?