আশাবুল হোসেন ও দীপক ঘোষ, হুগলি: হুগলির সাহাগঞ্জের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে বারবার শোনা গেল খেলা হবে স্লোগান। এই স্লোগানে ভর করেই বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তিনি। সুর চড়িয়ে তৃণমূলকে পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপিও।
একুশের ডার্বির ওয়ার্ম আপ পর্বে, ভোট-ময়দানের উত্তাপ এখন তুঙ্গে। প্রতিপক্ষের ডিফেন্স ভাঙতে, কড়া ট্যাকলের ঘুঁটি সাজাচ্ছে সব দল। এই প্রেক্ষাপটে দলকে চাঙ্গা করতে এবার ক্যাপ্টেনের মুখেও খেলা হবে! একবার নয়, বারবার।
শুরুতে। মাঝে এবং শেষে। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, খেলা একটাই হবে একুশের সাধারণ নির্বাচনে। একদিনে সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি, একদিকে তৃণমূল। আমি গোলরক্ষক। আমি দেখতে চাই কটা গোল মারতে পারেন। একটাও মারতে পারবেন না।। বারপোস্টের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যাবে ৷
বিধানসভা ভোটের আগে ‘খেলা হবে’ হিট! ছোট-বড় সমস্ত নেতার মুখেই বারবার উঠে আসছে এই স্লোগান। বুধবার হুগলির সাহাগঞ্জের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের ছত্রে ছত্রেও বারবার উঠে এল সেই খেলা হবে। এই স্লোগানে ভর করেই বিজেপিকে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, খেলা তো হবেই রে। খেলা তো হবেই। এই খেলা থেকেই বিজেপিকে ঠিক করতে হবে, আগামী দিনে দেশে থাকবে কি থাকবে না। বাংলায় হারালে দেশ থেকে বিদায় নেবে ৷
ময়দানি উত্তেজনায় গা ভাসিয়ে, খেলা হবে স্লোগান তুললেন কাঞ্চন মল্লিক, জুন মালিয়ার মতো নতুন খেলোয়াড়রাও। বাংলা নিয়ে বঙ্গবাসীর আবেগ উস্কে দিতে, ফের একবার বিজেপির গায়ে বহিরাগত টিমের তকমাও লাগানোর চেষ্টা করেছেন তৃণমূলনেত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, যদি বাংলা চান, তাহলে পরিষ্কার শুনে রাখুন। বাঙ্গাল নয়, বাংলা চাই। গুজরাত বাংলা শাসন করবে না। মোদি বাংলা শাসন করবে না ৷
ময়দান তৈরি। খেলোয়াড়রা গা ঘামাতে শুরু করে দিয়েছেন। এখন অপেক্ষা শুরু হাইভোল্টেজ ম্যাচের দিন ঘোষণার। তারপরই তো আসল খেলা!