সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: রান্নাঘরের দেওয়ালের রং সবুজ। এই ঘরেই তৈরি হবে, গেরুয়া শিবিরের নেতাদের দুপুরের খাবার।
লক্ষ্মীবারে, উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটির গৌরীপুরে, জুটমিল কর্মীর বাড়িতে পাত পেড়ে খাবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগত্প্রকাশ নাড্ডা।
বছর কয়েক হল, লক্ষ্মীশ্রী হারিয়েছে ব্যারাকপুর শিল্পনগরী। একে একে ঝাঁপ বন্ধ হয়েছে গঙ্গাপাড়ের একাধিক জুটমিল, কলকারখানার। ভোটের আগে, বিজেপির নজরে শ্রমিক মহল্লা।
বৃহস্পতিবার, জুটমিল কর্মী দেবনাথ যাদবের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ করবেন জেপি নাড্ডা। আগে, গৌরীপুর জুটমিলের কর্মী ছিলেন দেবনাথ যাদব।
সেই জুটমিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন কর্মরত রয়েছেন হুকুম চাঁদ জুটমিলে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ১০ নাগাদ জুটমিল কর্মীর বাড়িতে পৌঁছনোর কথা জেপি নাড্ডার।
পরিবার সূত্রে খবর, মেনুতে আছে--- ভাত, ডাল, দু’রকম সবজি, চাটনি, পাঁপড়, মিষ্টি। ১০ জনের খাবারের আয়োজন করা হয়েছে।
বিজেপি নেতার মধ্যাহ্মভোজ কর্মসূচি নিয়ে যথারীতি কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের নৈহাটি শহর সভাপতি অশোক চট্টোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, ভোটের আগে শুধু দেখতে আসে।
২০১৭ সালের জুলাই মাসে, উত্তরবঙ্গ সফরে এসে প্রথমবার নকশালবাড়িতে দলিত দম্পতি রাজু ও গীতা মাহালির বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারেন অমিত শাহ।
এরপর কখনও বাঁকুড়ায় আদিবাসী পরিবার, কখনও বাগুইআটিতে মতুয়া পরিবার। কখনও আবার বীরভূমে বাউলশিল্পী। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় কৃষক বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডারা।
গত বৃহস্পতিবার, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানার নারায়ণপুরে উদ্বাস্তু পরিবারে মধ্যাহ্নভোজ করেছিলেন অমিত শাহ। এবার শ্রমিকের পরিবারে খাবেন জেপি নাড্ডা।
তবে, এক্ষেত্রে একটু ব্যতিক্রম আছে। আগে যাঁদের বাড়িতে বিজেপি নেতারা খেয়েছিলেন, তাঁদের কারও সঙ্গেই রাজনীতির প্রত্যক্ষ যোগ ছিল না। কিন্তু, জুটমিল কর্মী দেবনাথ যাদব, নৈহাটির ১৩১ নম্বর বুথের বিজেপি সভাপতি।