অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: বিজেপি করার জের! আলিপুরদুয়ারে এক প্রৌঢ়কে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল জেলা তৃণমূলের সম্পাদক ও তাঁর দলবদলের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনা অস্বীকার করার পাশাপাশি পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে তাদের পতাকা-ফেস্টুন পুড়িয়ে দেওয়ার পাল্টা অভিযোগে সরব হয়েছে শাসকদল।


তৃণমূল গোটা ঘটনা অস্বীকার করলেও, আহতের পরিবারের অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের সময়ও বিকাশ দেবনাথের ওপর হামলা চালিয়েছিল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার ফের একই ঘটনা ঘটায় আলিপুরদুয়ার থানায় তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।


বছর ৫৫-র বিকাশ দেবনাথ টোটো চালিয়ে সংসার চালান। সঙ্গে সক্রিয় বিজেপি কর্মী হিসেবেও এলাকায় পরিচিত তিনি। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকালে আলিপুরদুয়ারের রেলওয়ে ডিএস কলোনিতে ঢুকতেই তাঁর ওপর ঝাপিয়ে পড়ে জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তপেন করের নেতৃত্বে ১৪-১৫ জনের একটি দল। মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে।


গুরুতর আহত অবস্থায় বর্তমানে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিকাশ দেবনাথ। হাসপাতালের বেডে শুয়ে আক্রান্ত বিজেপি কর্মী জানান, ‘‘তপেন কর ও তাঁর লোকজন মারধর করেছে। একমাত্র বিজেপি করি বলে মারল। আর কোনও কারণ নেই।’’


যদিও মারধরের সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। শাসকদলের পাল্টা দাবি, এলাকায় তাদের লাগানো পতাকা-ফেস্টুন রাতের অন্ধকারে পুড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। যার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভও দেখায় তারা।


আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক তপেন কর জানান, মারপিটের কোনও ঘটনা ঘটেনি। এখানে বিজেপি কর্মীদের দোকানপাট আছে। চাইলে ভেঙে দিতে পারতাম। আমাদের ফ্ল্যাগ পোস্টার পুড়িয়ে দেয়। সেই জন্য আমরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছি।


যদিও আক্রমণের সুর চড়িয়ে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি জেলা সাধারণ সম্পাদক সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই তৃণমূল একটা সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করতে চাইছে। এভাবে ওরা ভোটের বৈতরণী পার করতে পারবে না৷