পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার ছাতনা ও শালতোড়া কেন্দ্রের কয়েকটি গ্রামের ৮০ বছরের ঊর্ধ্ব ভোটাররা ভোট দিলেন পোস্টাল ব্যালটে। 


তাঁদের জন্য আজ বাড়িতেই অস্থায়ী ভোট গ্রহণকেন্দ্র তৈরি করে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করে নির্বাচন কমিশন। আজ উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতেও এক বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে প্রবীণ ভোটারদের ভোটদানে উত্‍সাহিত করেন কমিশনের প্রতিনিধিরা।


এবার ভোটের আগেই ভোটদান। ৮০ বছরের বেশি বয়সী ভোটারদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই উদ্যোগ নির্বাচন কমিশনের।


বৃহস্পতিবার বাঁকুড়ার ছাতনার বাঁশিডি গ্রামে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নজরদারিতে ভোটগ্রহণ করেন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী-আধিকারিকরা। 


গ্রামের ৮০ বছর ঊর্ধ্বের বৃদ্ধ, বৃদ্ধা ও বিশেষভাবে সক্ষমদের বাড়িতে অস্থায়ী ভোটকেন্দ্র তৈরি করে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। ছাতনার এক বয়স্ক ভোটারের ছেলে বলেন, ‘‘আগে বাবাকে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে যেতে কষ্ট হত। এবার সুবিধা হল। বাবা বাড়ি থেকেই ভোট দিতে পারল ৷’’


বাঁকুড়ার শালতোড়া বিধানসভা কেন্দ্রের মেজিয়া ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে ৮০ ঊর্ধ্বদের বাড়ি থেকে ভোটদানের ব্যবস্থা করা হয়। সেইমতো অনেকে ভোটও দিলেন আধাসেনার উপস্থিতিতে। 


আগামী ২৭ মার্চ প্রথম দফায় বাঁকুড়ার ছাতনা ও শালতোড়া কেন্দ্রে ভোট। তার ৯ দিন আগেই দুই কেন্দ্রের ৮০ ঊর্ধ্ব ভোটাররা ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলেন। এদিনই উত্তর ২৪ পরগনার কাশিমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক বৃদ্ধাশ্রমেও ভোটারদের ভোটদানে উত্‍সাহিত করতে যায় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি দল।  


প্রতিনিধি দলের সদস্যরা কথা বলেন বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের সঙ্গে।  যাঁদের বয়স আশির নীচে, তাঁদের অসুবিধার কথা শোনেন। নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি দলের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়, যে বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে হবে, তাঁদের আগে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। 


আশির নীচে বয়স, এমন বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের আক্ষেপ, শারীরিক কারণেই ভোটকেন্দ্রে যাওয়াটা তাঁদের পক্ষে খুব কষ্টের।  কয়েকদিন আগে বারাসাতের জগদীঘাটা কাজিপাড়ায় তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারদের ভোটদানে উত্‍সাহ দিতে তাঁদের মধ্যে প্রচার চালায় নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৭ এপ্রিল পঞ্চম দফায় উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতে ভোটগ্রহণ।