পূর্ণেন্দু সিংহ ও বিটন চক্রবর্তী:  ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই আরও জমে উঠেছে বাগযুদ্ধ! সমান তালে চলছে ব্যক্তিগত আক্রমণও! 


আবারও সম্মুখ সমরে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী।  তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বলেন, শুভেন্দু অধিকারী যতই ভদ্র সেজে থাকুন না কেন, তোমার মধ্যে জন্তুত্ত আছে। পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপি নেতাও। বলেছেন, যত করবে তত ভাল, বাংলার মানুষ এই ধরনের অসভ্যতাকে সমর্থন করেনি।


প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে থেকেই, তাঁকে আক্রমণ করে আসছেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ। ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতেই তা আরও জোরাল হয়েছে। 


আরও পড়ুন


Kalyan Vs Arjun: "অর্জুন চোলাই খেয়ে থাকে", তোপ তৃণমূলের কল্যাণের, "ও মাতাল", পাল্টা বিজেপি সাংসদ


শুক্রবার হুগলির ডানকুনিতে বিজেপির সভা থেকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি নেতা বলেন, মদের বোতলে আড়াই টাকা করে ভাতিজা ভেট দিতে হয়।পাড়ায় পাড়ায় মদের দোকান। আর আপনাদের সাংসদ তো দুটাকার পাউচ নিয়ে ঘোরেন আর একটা কুমরো নিয়ে ঘোরেন।


ওই দিন রাতেই, বাঁকুড়া শহরে তৃণমূলের কর্মীসভা থেকে যার পাল্টা জবাব দেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দুর পাশাপাশি অধিকারী পরিবারকেও আক্রমণ করেন শ্রীরামপুরের সাংসদ। যে পরিবারে এখনও দু-জন তৃণমূলের সাংসদ রয়েছেন।


তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শুনুন শুভেন্দু অধিকারী আপনাকে বলে যাই, ছোটবেলা থেকে পাউচ খাওয়ার অভ্যাস বাড়ি থেকে শিখেছেন। আর রাতে বন্ধঘরে কত কুর্কীতি করেছেন তা আর বলা যাবে না মানুষের কাছে।



নারদকাণ্ডে অভিযুক্ত শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যাওয়ার পর থেকেই তাঁকে নিশানা করে আসছে তৃণমূল। এবার তাঁর আরও দুর্নীতি ফাঁস করার হুঁশিয়ারি দিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, তোমার পর্দা ফাঁস করে দেব একদম, তুমি কি জিনিস, আমরা সব জানি, ইট যদি মারো পাটকেল খেতেই হবে।


যদিও এতে গুরুত্ব দিতে নারাজ শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, অনীল বসুদের মুখ মনে পড়ে যাচ্ছে। বিনয় কোঙারদের মুখ মনে পড়ে যাচ্ছে। আরও ভাল করে নাচতে বলুন, পা উচিয়ে।


কথার লড়াই চরমে। কিন্তু ভোটের লড়াইয়ে জিতবে কে? তা জানা যাবে ২ মে।