রুমা পাল, কলকাতা: ভোটের আগে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে ব্যাপক রদবদল করা হল। একসঙ্গে সরানো হল অতিরিক্ত সিইও, যুগ্ম সিইও ও ডেপুটি সিইওকে। সূত্রের খবর, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে ব্যাপক রদবদল নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী।


ইঙ্গিত ছিলই আগেই...এবার ভোটের আগে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে ব্যাপক রদবদল করা হল! অত্যন্ত তাৎ‍পর্যপূর্ণভাবে একসঙ্গে সরানো হল....অতিরিক্ত সিইও, যুগ্ম সিইও এবং ডেপুটি সিইওকে।


অতিরিক্ত সিইও শৈবাল বর্মন ২০১০ সাল থেকে এই দায়িত্বে ছিলেন। ২০১১-র বিধানসভা ভোট, ২০১৪-র লোকসভা ভোট, ২০১৬-র বিধানসভা ভোট এবং সর্বশেষ উনিশের লোকসভা ভোটের সময় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। ভোটের সময় আইনশৃঙ্খলা, আদর্শ আচরণবিধি মানা হচ্ছে কি না, সেই বিষয়টা দেখতেন অতিরিক্ত সিইও। বৃহস্পতিবার জেলা সফরে যান শৈবাল বর্মন। সেখান থেকে ফেরার পরই বদলির চিঠি হাতে পান। সূত্রের খবর, রাজ্যের তরফে তাঁকে স্বরাষ্ট্র দফতরে পাঠানো হবে।


সরানো হয়েছে যুগ্ম রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিকে অনামিকা মজুমদারকেও। ভোটের সময় EVM এবং ভোট সংক্রান্ত ট্রেনিংয়ের বিষয়গুলি দেখতেন তিনি। এই দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন ২০১২ সাল থেকে। ২০১৪-র লোকসভা ভোট, ২০১৬-র বিধানসভা ভোটের পাশাপাশি উনিশের লোকসভা ভোটেও দায়িত্ব সামলেছেন অনামিকা। সরানো হল সহকারি নির্বাচনী আধিকারিক অমিতজ্যোতি ভট্টাচার্যকেও। মিডিয়া সেল এবং ভোট প্রচারের কাজকর্ম দেখতেন তিনি। ২০১৩ থেকে এই দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন অমিতজ্যোতি। তাঁর দায়িত্বেই ২০১৪-র লোকসভা ভোট, ২০১৬-র বিধানসভা ভোট এবং উনিশের লোকসভা ভোট পরিচালনা হয়েছিল।


তবে, কী কারণে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের এই তিন শীর্ষ আধিকারিককে সরানো হল, তা স্পষ্ট করেনি কমিশন। এদিন, সদ্য প্রাক্তন অতিরিক্ত সিইও শৈবাল বর্মনকে ফোন করেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব। সূত্রের খবর, ভোটের মুখে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের শীর্ষ মহলে ব্যাপক রদবদল নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি রাজ্যে এসে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের তরফে চিফ ইলেকশন কমিশনার সুনীল অরোরা জানিয়ে দেন, নির্বাচন কমিশন জানে, কীভাবে এবারের নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করাতে হবে।


তারপ আগে রাজ্যে এসে ডেপুটি কমিশনার সুদীপ জৈনও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ভোট পরিচালনার ক্ষেত্রে কর্তব্যে গাফিলতি হলে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত আধিকারিককে সরিয়ে দেওয়া হবে। এই প্রেক্ষাপটে এবার রাজের মুখ নির্বাচনী আধিকারিকের অফিসের তিন অফিসারকে সরাল নির্বাচন কমিশন।


আরও কয়েকজন আধিকারিকের উপর কোপ পড়তে পারে বলে কমিশন সূত্রে খবর। সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের তরফে ন’টি নাম পাঠানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে থেকে তিন আধিকারিককে বেছে নেবে কমিশন!