দক্ষিণ দিনাজপুর: বিহারে বিজেপি বিরোধী মহাজোটের যাত্রাভঙ্গ করার পর, বাংলায় ঝাঁপাতে চলেছে আসাদউদ্দিন ওয়েসির দল মিম। পর্যবেক্ষকদের মতে, মহারাষ্ট্র থেকে উত্তরপ্রদেশে বারবার ভোট কেটে বিজেপির সুবিধা করে দিয়েছে মিম। এবার পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটে মিম লড়াই করলে, তাতে কার সুবিধা হবে? তা নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। বিজেপির অভিযোগ, মুসলিম ভোট ভাগ করতে মিমকে ব্যবহার করছে তৃণমূলই।


বিজেপি সংখ্যালঘু সেলের রাজ্য সভাপতি আলি হোসেন বলেছেন, বহু সংখ্যালঘু মানুষ বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। ভোটের আগে সংখ্যালঘুদের বিজেপিতে আসা আটকাতে মিমকে মদত দিচ্ছে তৃণমূল। এবার ভোটে বিজেপির সঙ্গে বাকিদের লড়াই।
কয়েকদিন আগে তৃণমূলে যোগ দেন মিমের নেতা আনোয়ার পাশা। এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে তৃণমূলের দাবি, সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করার প্রয়োজন তাদের নেই। কারণ, সংখ্যালঘুরা তাদের সঙ্গেই আছে।

দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূল কংগ্রেস কোঅর্ডিনেটর সুভাষ চাকি বলেছেন, যে পরিসংখ্যান দিচ্ছে বিজেপিতে তা ভুল। কোনও কট্টর মৌলবাদী সংগঠনের সঙ্গে থাকে না তৃণমূল। আমাদের লক্ষ্য উন্নয়ন, মানুষ আমাদের সঙ্গে থাকবে। বিজেপি বিভাজনের রাজনীতি করে।
পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৩০ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট। ২০১১ থেকে এই ভোটব্যাঙ্ক কার্যত পুরোটাই তৃণমূলের দিকে ছিল।
তবে ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের পর থেকে সেই ছবি কিছুটা বদলেছে। ১৮টি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত লোকসভা আসনের ৪টি তৃণমূলের থেকে বিজেপির হাতে গিয়েছে। এগুলি হল বালুরঘাট, কোচবিহার, বনগাঁ ও রানাঘাট।
এবার বিধানসভা ভোটে কী হবে? সেটাই দেখার।