সুজিত মণ্ডল, নদিয়া: নদিয়ার দত্তপুলিয়ায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ভোট-প্রচারে গিয়ে ক্ষোভের মুখে তৃণমূল বিধায়ক। বিজেপি করায়, সরকারি সুযোগ সুবিধা পান না বলে দাবি স্থানীয়দের একাংশের। অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল বিধায়ক। উল্টে বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধানের ঘাড়েই দোষ ঠেলেছেন তিনি।


এপারে বাংলা, ওপারে বাংলাদেশ। দুই বাংলাকে ভাগ করেছে ইছামতী আর কাঁটাতার। নদিয়ার দত্তপুলিয়ার হাবাসপুর বর্ডারের কাছে ঝোড়পাড়া এলাকা। এখানে প্রায় ৮০টি পরিবারের বাস। বিএসএফের অনুমতি ছাড়া এখানকার বাসিন্দাদের বাইরে বেরোনোর উপায় নেই। তবে, ভোটের আগে অবাধে আসা যাওয়া চলে নেতাদের! তবে বাসিন্দাদের দাবি দাওয়া পূরণ হয় কি? ঝোড়পাড়ার বাসিন্দা মৌসুমী বসু জানান ‘‘সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত তারা। এই গ্রামে দল দেখে বেছে বেছে তাদের সরকারি সুযোগ দেওয়া হয়। বিজেপি করলে সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকতে হয়।’’ইছামতীর ধারে, সীমান্তবর্তী গ্রামে আগামী ভোটের ইস্যু হয়ে উঠেছে অনুন্নয়ন। 


নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সহ সভাপতি বিপুল উকিল বলেন, ‘‘সিপিএমের জামানাতেও ওই গ্রামে বিজেপি জয়লাভ করে এসেছে। সেখানে তৃণমূলের রাগ আরও বেড়ে গিয়েছে। সেই কারণে ওরা চাইছে আরও বেশি বেশি করে বিজেপির মানুষদেরকে সুযোগ-সুবিধা থেকে কিভাবে বঞ্চিত করে রাখা যায়। এতে তৃণমূল মোটেও লাভবান হবে না।’’
 
রানাঘাট উত্তর-পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক সমীরকুমার পোদ্দার জানান, দত্তপুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের এই গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য যেহেতু বিজেপির, সেক্ষেত্রে এই পঞ্চায়েত সদস্য কোন স্কিম বা কারা কারা কোন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তার তালিকা যদি না দেন, সেই দায়ভার পঞ্চায়েত প্রধানের হতে পারে না। তবে কোনও দল না দেখে, যারা স্কিম জমা দিয়েছেন,তাদের সেই সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়নি।


এই ঝোড়পাড়া এলাকা রানাঘাট উত্তর-পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। গত বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্রে তৃণমূল জয়ী হলেও, লোকসভায় এগিয়ে যায় বিজেপি। একুশের নির্বাচনে সেই ব্যবধান ঘোচাতে মরিয়া তৃণমূল। তাই আগেভাগেই জনসংযোগে নেমেছে শাসকদল। বাসিন্দাদের হাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তুলে দেন রানাঘাট উত্তর-পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক। কিন্তু এতে গ্রামবাসীদের আস্থা ফিরবে কী?