রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ:  মুর্শিদাবাদের কান্দিতে বাড়ির কাছে গুলিবিদ্ধ হলেন এক তৃণমূল কর্মী। কংগ্রেস ও বিজেপির মদতে খুন বলে অভিযোগ তৃণমূলের। অভিযোগ উড়িয়ে দুই দলেরই পাল্টা দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা। তবে পরিবারের অনুমান ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে।


 


ভোটের মুখে ফের গুলি চলল মুর্শিদাবাদে। কান্দির আন্দুলিয়ায় বাড়ি ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হলেন এক তৃণমূল কর্মী। স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার রাতে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন বছর আটত্রিশের বরুণ ঘোষ ৷ অভিযোগ, দুই আততায়ী তাঁর পথ আটকে খুব কাছ থেকে গুলি করে উধাও হয়ে যায়৷ হাতে ও বুকে গুলি লাগে তৃণমূল কর্মীর।


 


আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে প্রথমে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে আনা হয়। কিন্তু, অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তারপর নিয়ে আসা হয় এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।


 


দলীয় কর্মী আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় কংগ্রেস-বিজেপির আঁতাঁতের অভিযোগে সরব হয়েছে তৃণমূল। মুর্শিদাবাদের তৃণমূল কংগ্রেসের কোঅর্ডিনেটর অশোক দাস বলেন, ‘‘কংগ্রেসের সহযোগিতায় বিজেপি গুলি করেছে, রিভলভার দিয়েছে কংগ্রেস বিজেপির হাতে ৷ তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে শ্যুটআউট বলে পাল্টা দাবি করেছে কংগ্রেস ও বিজেপি।


 


মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘একটা মানুষকে মারতে বিজেপি-কংগ্রেস জোটের দরকার হয় কী? এর পিছনে রাজনীতি নয়, ব্যবসায়িক লেনদেনের জের রয়েছে ৷ ’’


 


মুর্শিদাবাদ দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘এটা তৃণমূলের সাজানো, ওদের গোষ্ঠীকোন্দলের ফল, সারা রাজ্যের মতো এই জেলাতেও গুলি-বোমাবাজি চলছে সবটাই তৃণমূলের দ্বন্দ্বের ফল, কিছু হলেই বিরোধীদের দিকে আঙুল তোলা হয় ৷’’


 


তৃণমূল কর্মীর পরিবারের আবার দাবি, ব্যবসায়িক সংক্রান্ত মতবিরোধের জেরেই এই ঘটনা। আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর মা কুন্তি ঘোষ বলেন, ‘‘আমার ছেলে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে, পুকুরে মাছ ফেলাকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল হয়, দোষীদের শাস্তি চাই ৷’’


 


স্থানীয় সূত্রে দাবি, এলাকার আরও দু’জনের সঙ্গে পুকুরের লিজ নেন আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী ৷ পুকুরের লিজের টাকার ভাগ নিয়ে গন্ডগোলের জেরে চলে গুলি ৷ তৃণমূল কর্মীর দুই ব্যবসায়িক সহযোগীর বিরুদ্ধে কান্দি থানায় অভিযোগ হয়েছে। অভিযুক্তদের খোজঁ চালাচ্ছে পুলিশ।