গোপাল চট্টোপাধ্যায় ও সঞ্চয়ন মিত্র: স্লোগান এক। দলও এক। কিন্তু ভগীরথ কে? তৃণমূলেই একাধিক দাবিদার!
বছর তিনেক আগে বোলপুরের একটি ঘটনায় তৎকালীন বীরভূমের ডিএসপিকে সময় বেঁধে দিয়ে হুঁশিয়ারি দেন অনুব্রত মণ্ডল। সেসময় বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির মুখেও উঠে আসে খেলার কথা। বলেছিলেন, তাণ্ডবলীলা খেলে দেব, ভয়ঙ্কর খেলে দেব।
একুশের মহাযুদ্ধের আগে ফের খেলা হবে স্লোগান। যা রাজনীতির আঙিনা পেরিয়ে ঢুকে গিয়েছে হেঁশেলে। বিয়েবাড়ি থেকে অনুষ্ঠান। কিছুতেই বাদ যাচ্ছে না।
কিন্তু এই ‘খেলা হবে’র স্রষ্টা কে?
অনুব্রত মণ্ডল বলছেন, এই স্লোগান মুখে মুখে ঘোরার পিছনে অবদান আছে বীরভূমের লালমাটির। বললেন, কে আবিষ্কারক এখন বলব না, ভোটের পর বলব, আমাদের দলের তরফে জেলা থেকে বলেছিলাম, দেবাংশুও বলেছে।
তৃণমূল মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য স্লোগানের কৃতিত্ব বীরভূমকে দিতে নারাজ! বলেন, কোচবিহারের একটি কলেজে গিয়েছিলাম, সেখানে মাঠে বসে স্লোগান তুলি, স্রষ্টা হিসেবে ভাল লাগে যখন দেখি বিভিন্ন দল ব্যবহার করছে।
স্লোগানের কৃতিত্ব নিয়ে এই কাড়াকাড়ির মধ্যেই মদন মিত্রকে পাশে পেয়েছেন দেবাংশু। মদন বলেছেন, ছাত্র নেতারা তৈরি করে, দেবাংশুর অবদান আছে।
‘খেলা হবে’র পিঠোপিঠে এসে গিয়েছে বামদের টুম্পা সোনার প্যারডি। গানের স্রষ্টা অবশ্য বলছেন টুম্পার গায়ে কোনও রাজনীতির রং লাগুক তিনি তা চান না। পরিচালক অরিজিৎ সরকার বলেন, টুম্পা কোনও দলের নয়, আমার মনে হয় পলিটিক্যাল প্যারডি যুগে যুগে হয়ে চলে আসছে, আমরা চাই তৃণমূল বানাক, বিজেপি বানাক, মিম বানাক।
এপ্রসঙ্গে এসএফআই রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, কয়েকজন সমর্থক গান বানিয়েছে, আমরা সবটাই গ্রহণ করেছি, আসল কথা হল কন্টেন্ট, যদি কোনও গানে শিক্ষার কথা থাকে স্বাস্থ্যের তাহলে সবাই গ্রহণ করবে।
সময়ের দাবি মেনে দেওয়াল লিখন এখন প্রায় অতীত। সেই শূন্যতা ভরিয়েছে প্যারডি।