গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: ভোটের মুখে জমজমাট বীরভূম। আজ জেলায় জোড়া কর্মসূচি রয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অন্যদিকে, এদিন দুপুর ৩টে নাগাদ হাসানে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
সকাল ১১টা নাগাদ রামপুরহাট ত্রিফলা মোড় থেকে পাঁচমাথা মোড় হয়ে মহাজনপট্টি, কামারপট্টি ঘুরে ফের পাঁচমাথা মোড়ে শেষ হবে প্রথম দফার রোড শো। এরপর তারাপীঠ মন্দিরে পুজো দেবেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিকেল ৪টে নাগাদ দ্বিতীয় দফার রোড শো শুরু হবে সাঁইথিয়ার ইউনিয়ন মোড় থেকে। শেষ হবে বলাকা ফুটবল ময়দানে।
এর আগে, রবিবার পর্ণশ্রীতে নিজের ওয়ার্ডেই বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি নেতা শোভন চট্টোপাধ্যায়।কালো পতাকা দেখানো হল তাঁকে এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
চার জায়গায় বিক্ষোভ দেখানো হয় তাঁদের। কোথাও দেখানো হয় কালো পতাকা। কোথাও তারস্বরে বাজানো হয় খেলা হবে গান। পাল্টা জয় শ্রীরাম স্লোগান উঠল বিজেপির তরফ থেকে।
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিধানসভা এলাকা বেহালা পশ্চিমের রবীন্দ্রনগরে সভা ছিল শোভন চট্টোপাধ্যায়, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নিজের ওয়ার্ড ১৩১- নম্বরের উপর দিয়েই সেখানে যান কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। তখনই দফায় দফায় বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা।
যার পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে, নাম না নিয়ে স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। বলেন, আমার গাড়িকে বাধা দেওয়া হয়েছে। কালো পতাকা দেখানো হয়েছে, এসব দেখে খারাপ লেগেছে। যাকে একসময় বেহালার মানুষের সঙ্গে পরিচয় করে দিয়েছিলাম। আমি মূর্তি বানাতে গিয়ে বানর বানিয়ে ফেলেছি।
তার আগে, ২ ফেব্রুয়ারি সাড়ে তিন বছর পর বেহালায় পা রেখেছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা কলকাতা জোনের বিজেপি পর্যবেক্ষক শোভন চট্টোপাধ্যায় ও সহ আহ্বায়ক বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিন তাঁদের রোডশো ছিল ডায়মন্ডহারবার রোডে। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে অনেকটা দূরে।