নয়াদিল্লি: আব্বাস সিদ্দিকির দলের হাত ধরা নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের ওপর ক্ষোভ উগরে দিলেন আনন্দ শর্মা। ‘দলের  নীতি-ঐতিহ্যের সঙ্গে এই ধরণের দলের সঙ্গ নেওয়া খাপ খায় না’ , কেন্দ্রীয় কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা আনন্দ শর্মা ঠিক এমনই চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন।


পাশাপাশি ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের হাত ধরা নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। আনন্দ শর্মা টুইটারে উষ্মা প্রকাশ করে লেখেন, ‘আইএসএফের হাত ধরা কংগ্রেসের দলের নীতি ও গাঁধী-নেহরুর দেখানো ধর্মনিরপেক্ষতার পথের সঙ্গে খাপ খায় না।‘


আক্রমণের ধার বাড়িয়ে অধীর চৌধুরীর পদক্ষেপকে সরাসরি কাঠগড়ায় তুলে আনন্দ শর্মা জুড়েছেন, ‘এই ধরণের জোট করার আগে কেন্দ্রীয় কমিটির থেকে ছাড়পত্র নেওয়া উচিত ছিল। আর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির এই ধরণের দলের সঙ্গে মঞ্চ-ভাগ করার ঘটনা বেদনাদায়ক ও লজ্জাজনক, তাঁকে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে।’


এমনিতেই ব্রিগেড-মঞ্চ থেকেই অস্বস্তি সঙ্গী হয়েছে কংগ্রেসের। প্রথমে অধীর চৌধুরী বক্তব্য রাখার সময় যখন আব্বাস সিদ্দিকি মঞ্চে ওঠেন তখন জনতার প্রবল চিৎকারে বক্তব্য থামাতে হয় অধীর চৌধুরীকে। তাল-কাটার সেই শুরু।


বক্তব্যের মাঝে কার্যত সরাসরি কংগ্রেসকে বার্তা দিয়ে আসনরফার বিষয়ে খোঁচা দেন আব্বাস। পরে যা নিয়ে পাল্টা দেন অধীরও। কংগ্রেস ও আইএসএফ দুই দলেরই দাবি, তারা বামফ্রন্টের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা করছে, অন্য দলটির দাবি নিয়ে তারা ততটা মাথা ঘামাতে নারাজ।


গতকালই ফের কংগ্রেসকে আরও একদফা আক্রমণ শানান আইএসএফের প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস। কংগ্রেসের এক নেতার বিরুদ্ধে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস দুই দলের সঙ্গেই যোগাযোগ রাখার বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন আব্বাস।


(আরও পড়ুন- 


বিজেপির অ্যাজেন্ডাকেই সুবিধা করে দিচ্ছেন, আনন্দ শর্মাকে অধীরের পাল্টা)


যে রেশ কাটতে না কাটতেই আইএসএফের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট কথাবার্তা এগোনোকেই সরাসরি আক্রমণ শানালেন আনন্দ শর্মা। সব মিলিয়ে হঠাৎ তৈরি হওয়া জোট জটিলতা বাড়ছে ক্রমশ।