করুণাময় সিংহ, মালদা: হবিবপুরের পর বৈষ্ণবনগর। মালদায় প্রার্থী নিয়ে তৃণমূলে অসন্তোষ চরমে। 


তৃণমূলে প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষের আঁচ এবার জাতীয় সড়কে। বৈষ্ণবনগরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূলের একাংশ। 


কিন্তু যাঁকে প্রার্থী করার দাবিতে এই বিক্ষোভ, তাঁর পদত্যাগ ঘিরেই টানটান নাটক। ভোটের মুখে ভাঙন মালদা তৃণমূলে। 


বৈষ্ণবনগরে এবার চন্দনা সরকারকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। বৈষ্ণবনগরের বাসিন্দা চন্দনা সরকার মালদা জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি।


বিক্ষোভকারীদের দাবি, চন্দনা নয়, স্থানীয় নেতা তথা মালদা জেলা তৃণমূলের আহ্বায়ক অম্লান ভাদুড়িকে ওই কেন্দ্রে প্রার্থী করতে হবে। 


এই দাবিতেই বিকেলে জাতীয় সড়ক আটকে শুরু হয় বিক্ষোভ।  রাজনগর ২ গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান সঞ্জয় কুমার ঘোষ বলেন, অম্লান ভাদুড়ি প্রভাবশালী নেতা। আমরা তাঁকেই প্রার্থী চেয়েছিলাম। কিন্তু দুর্নীতিগ্রস্ত চন্দনা সরকারকে প্রার্থী করা হয়েছে। আমরা চাই তা পরিবর্তন করে অম্বলান ভাদুড়িকে প্রার্থী করা হোক। 


বিক্ষোভ চলাকালীন বিকেল ৫টা নাগাদ মালদা জেলা তৃণমূলের আহ্বায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন অম্লান ভাদুড়ি। ছেড়ে দেন সব সরকারি পদও। বলেন, তৃণমূলে থেকে আর মানুষের কাজ করা যায় না। গোষ্ঠীকোন্দলে জর্জরিত হয়ে পড়েছে দল। তাই পদত্যাগ। পাশাপাশি, পদত্যাগ করেন মালদা জেলা তৃণমূলের সম্পাদক সুজিত মণ্ডলও। 


গোটা বিষয়টিকে পূর্ব-পরিকল্পিত বলে কটাক্ষ করেছে শাসক দল। প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মালদা জেলা তৃণমূল মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, এগুলো সব পূর্ব পরিকল্পিত ছিল। ২০১০ সালর যোগদানের পর তিনি দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছেন। যুব সভাপতি হয়েছেন, কোঅর্ডিনেটর পদে ছিলেন। অনেক সরকারি পদ তাঁকে দিয়েছিল দল। এখন তিনি সমস্ত ক্ষমতা উপভোগ করে মিথ্যে কথা বলছেন। মানুষ এর উত্তর দেবে।


এর আগে সরলা মুর্মুকে দল হবিবপুরে প্রার্থী করায়, বহিরাগত অভিযোগে সরব হয় তৃণমূলের একাংশ। প্রার্থী বদলের দাবিতে তৃণমূলের কার্যালয়ের ভিতরেই বিক্ষোভ দেখানো হয়।


এবার তার সঙ্গে যোগ হল বৈষ্ণবনগর। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের বিধানসভাভিত্তিক ফলে বৈষ্ণবনগর কেন্দ্রে ২৬ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে বিজেপি।