দক্ষিণ ২৪ পরগনা: যদি দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগসূত্র পাওয়া যায়, তবে তিনি নিজে গিয়ে ফাঁসিতে মৃত্যুবরণ করবেন। ডায়মন্ডহারবারের সভায় প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

অভিষেক আজ শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করে বলেন, সবাই দেখেছে তোমাকে কাগজে মুড়ে টাকা নিতে, আর আমি তোলাবাজ? আমার পিছনে ইডি-সিবিআই লাগাতে হবে না, ফাঁসির মঞ্চ তৈরি কর, আমি নিজে গিয়ে মৃত্যুবরণ করব। আমি ভয় পাই না। তদন্ত করুন, কোথায় ভাইপো জড়িত, এত ভয় কেন, নাম নিতে পারেনা!

অভিষেক বলেন, স্বাধীনতার যুদ্ধের থেকেও এখন পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর। বলছে, পশ্চিমবঙ্গকে নরেন্দ্র মোদির হাতে তুলে দেব, মানে দিল্লি থেকে বাংলা চালাবে। ক্ষমতা থাকলে ডায়মন্ড হারবার তুলে দেখান। কোথায় উন্নয়ন দরকার, বলুন, তা বিজেপি বলছে না, বলছে গরু পাচারকারী, কয়লা পাচারকারী। সীমান্তে গোরু পাচার হচ্ছে, বিএসফএ কী করছিল? বিএসএফ কার আওতায়? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আওতায়।  তাহলে কোন ভাইপো দায়ী? কোলিয়ারি কে রক্ষা করে? সিআইএসএফ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তো আমার কথায় চলে না, এ সব দুর্নীতির জন্য তাহলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পদত্যাগ করা উচিত।

অমিত শাহের উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ রাজ্যে আসছে, খাচ্ছে দাচ্ছে। খেতে খুব ভালবাস, দিল্লিতে আন্দোলনরত কৃষকদের কাছে যেতে পারছ না কেন? অমিত শাহ বাংলায় এসে যাদের বাড়িতে খাচ্ছে, তারা বলছে, আমরা ভাবলাম কথা বলবে, কিন্তু না বলেই চলে গেল!

তাঁর কথায়, আমি দুর্নীতিতে যুক্ত থাকলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিন। পশ্চিমবঙ্গ গুজরাত-মধ্যপ্রদেশ নয়, এ রাজ্যকে হারানো এত সহজ নয়। শুভেন্দুকে ফের আক্রমণ করে তিনি বলেন, ১০ বছর মন্ত্রী থেকে পাল্টিবাজি, আমার সঙ্গে তোমার তফাত কোথায় জান? মেরুদণ্ডে। লড়াইয়ের দম না থাকলে শাড়ি-চুরি পরে বাড়িতে ঢুকে যাও। আগামী দিনে এ রাজ্যে ৩১-০ করব, ডায়মন্ড হারবারের ৭-০ হবেই। পদ্মফুল ফুটবে না।