দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বলছে তোলাবাজ ভাইপো হঠাও। তোমাকে নারদে টাকা নিতে দেখা গেছে, তোলাবাজ তো তুমি। ডায়মন্ডহারবারের জনসভায় নাম না করে সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, সারদায় তোমার নাম রয়েছে, আমি সারদাতেও নেই, নারদেও নেই।


ইডি-সিবিআই লেগে কাঁচকলা করে। টিভির পর্দায় ঘুস খেতে তোমাদের দেখা যাচ্ছে, বাঁচতে তোমরা বিজেপিতে যাচ্ছ, আর তোলাবাজ ভাইপো হঠাও? ডায়মন্ডহারবারের জনসভায় শুভেন্দুর দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সময় শুভেন্দু অভিষেকের নাম না করে স্লোগান দেন, তোলাবাজ ভাইপো হঠাও। জবাবে অভিষেক বলেন, ডায়মন্ড হারবারের ভাইপো তো একটা দলকে ল্যাজে গোবরে করছে। অমিত শাহ তোমার দাদা, ও দাদা হলে ভাইপো কে? ২০১৪ সাল থেকে অমিত শাহর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে, করোনায় ৮০ শতাংশ লোক উপসর্গহীন, আমাদের দলেও কিছু উপসর্গহীন বেইমান ছিল, তাদের সনাক্ত করেছি।

তাঁর কথায়, তলায় তলায় বিজেপির হয়ে কাজ করেছে এরা, বাইরে থেকে ধরা যাচ্ছে না, উপসর্গহীন। সৌমিত্র খাঁ বলছেন, শুভেন্দু জিতিয়েছে, বাকিটা ওঁর স্ত্রী এসে বলে দিয়েছেন। শুভেন্দুর নাম না করে তিনি বলেন, বলছে ২১ বছর তৃণমূল করেছি, লজ্জা করে। বাবা- ভাই তো এখনও তৃণমূল করে, তাতে লজ্জা করে না? নিজের বাড়িতে পদ্ম ফোটাতে পারছে না, আর বলছে বাংলায় পদ্ম ফোটাবেন? ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মাটির লোক সারদা-নারদ-রোজভ্যালিতে অভিযুক্ত। পিঠ বাঁচাতে বিজেপিতে গিয়েছে, মেরুদণ্ড বেচে দিয়েছে।

তাঁর কথায়, যে বিজেপিতে যাবে যাও, যতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন, কে এল আর কে গেল যায় তাতে আসে না। দল ভাইরাস মুক্ত হচ্ছে, অনেকদিন আগে থেকে চাইছিলাম, আমার দল ভাইরাস মুক্ত হোক। অনেকে পাল্টিবাজি করে বিজেপিতে গিয়েছে, আগে নেতারা আক্রমণ করত, অমিত, দিলীপ, বাবুল আক্রমণ করত। এখন নেতা কম পড়েছে, তৃণমূল থেকে লোক নিয়ে গিয়ে আক্রমণ করছে। চ্যালেঞ্জ করেছিলাম, বলেছিলাম, নাম নিয়ে আক্রমণ করুন। ১ মাস পেরিয়ে গিয়েছে নাম ধরে আক্রমণ করেনি। ক্ষমতা থাকলে আমার নাম নিয়ে আক্রমণ করে দেখান। চ্যালেঞ্জ অভিষেকের।