আশাবুল হোসেন ও উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, পুরুলিয়া:  নন্দীগ্রামে আহত হওয়ার পর, আজ প্রথম জেলা সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


পুরুলিয়ায় আজ জোড়া সভা করবেন তৃণমূলনেত্রী। হুইলচেয়ারে বসেই ভাষণ দেবেন তিনি। দুপুর ১টা নাগাদ ঝালদা হাইস্কুল মাঠে প্রথম নির্বাচনী সভা। পরের সভা দুপুর ৩টে নাগাদ বলরামপুরে। 


গত বিধানসভা নির্বাচনে পুরুলিয়াতে ভাল ফল করে তৃণমূল। জেলার ৯টি বিধানসভার মধ্যে ৭টিই তারা দখল করে। ২টি আসন পায় কংগ্রেস। শূন্য হাতে ফিরতে হয় বিজেপিকে। 


কিন্তু লোকসভা ভোটে সেই হিসেব উল্টে যায়। পুরুলিয়া লোকসভা আসনটি দখল করা ছাড়াও এই লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে ৭টি বিধানসভাতেও তৃণমূলকে পিছনে ফেলে এগিয়ে বিজেপি। 


 



 


এই পরিস্থিতিতে ভোটের আগে দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ কী বার্তা দেন তার দিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের। 


এর আগে, রবিবার হুইলচেয়ারে বসেই সাড়ে চার কিলোমিটার র‍্যালিতে অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী তথা নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


তৃণমূলনেত্রী জানালেন, আপাতত এভাবেই ভোটের প্রচার সারবেন। বললেন, হুইলচেয়ারে ভাঙা পায়ে সারা বাংলায় ঘুরে বেরাব। এবং খেলা হবে। 


গতকাল মেয়ো রোড থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত মিছিলের ডাক দেয় তৃণমূল। সেখানেই সামিল হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন তৃণমূল নেত্রী।


দুপুর দেড়টা নাগাদ কালীঘাটের বাড়ি থেকে রওনা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  ১টা ৪৫ মিনিটে পৌঁছে যান মেয়ো রোডের সভামঞ্চের কাছে। 


দুপুর দুটো নাগাদ শুরু হয় র‍্যালি। সাড়ে চার কিলোমিটারের যাত্রাপথের বেশিরভাগ সময়েই হুইলচেয়ার ঠেললেন একজন নিরাপত্তারক্ষী।


 



 


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সঙ্গে এদিন মিছিলের প্রথম সারিতে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, অরূপ বিশ্বাস, দেবাশিস কুমার, শান্তনু সেনরা।  উপস্থিত ছিলেন টালিগঞ্জের কয়েকজন তারকাও।


দলনেত্রীর এই মনের জোর দেখে, তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে যেন উৎসাহ ছিল কয়েকগুন বেশি। কোথাও বাজানো হল কাসর। কোথাও দেওয়া হল উলুধ্বনি।


তিনটে ১০ নাগাদ  হাজরার মঞ্চে পৌঁছয় মিছিল। এখানে র‍্যাম্প দিয়ে হুইলচেয়ারে করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোলা হয় মঞ্চে। 


হাজরা থেকে হাওড়ার ডুমুরজোলায় যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে জেলাসফরের উদ্দেশ্যে হেলিকপ্টারে করে যান দুর্গাপুরে।