হেয়ার স্কুলেও দেখা গিয়েছে একই ছবি। এখানেও পড়ুয়াদের জন্য লকার হাজির। শিক্ষাবিদ সুরঞ্জন দাস জানিয়েছেন, ‘এটা ভাল। তবে আমাদের প্রজেক্ট ওয়ার্কগুলো এসেছে বিদেশের অনুকরণে। কিন্তু বিদেশে এগুলো স্কুলেই হয়। বাড়িতে করলে সৃজনশীলতা নষ্ট হয়। অন্য কেউ করে দেয়। প্রাইভেট স্কুলকেও এর সঙ্গে যুক্ত করা উচিত।’
শিক্ষাবিদ কৃষ্ণা বসু জানিয়েছেন, ‘স্কুল থেকে সোজা প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছে। অতিরিক্ত বই খাতা, টিফিন বাক্স...ফলে ভার বাড়ছে। স্কুলে যদি ভাল পড়াশোনা হত, তাহলে প্রাইভেটে ছুটতে হত না। লকার হচ্ছে ভাল, কিন্তু পড়াশোনাও করতে হবে স্কুলে।’
কিন্তু রাজ্যের হাজার হাজার সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের কী হবে? সেখানে কি লকার তৈরি হবে না? শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলছেন, অর্থ অপ্রতুল।
আদ্যন্ত সরকারি স্কুলের চেয়ে, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের সংখ্যা অনেক বেশি। তাই সেগুলিতে লকার তৈরি না হলে, তো বড় অংশের ছাত্র-ছাত্রীদের চাপ আগের মতোই থেকে যাবে! কারও পিঠে ভার কমল, আর কারও ভার রয়েই গেল, সেটা কি আদৌ কাম্য?
‘সরকারি স্কুলের পড়ুয়াদের পিঠের ব্যাগের বোঝা কমুক। আর সেইসঙ্গে পড়াশোনার মানটাও এমন উন্নত হোক, যাতে তারা যে কোনও বোর্ডের পড়ুয়াদের সঙ্গে লড়াই করতে পারে,’ বলছেন শিক্ষাবিদরা।