কলকাতা: বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মামলার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেক দ্বারস্থ হল রাজ্য। গতকাল শুভেন্দু অধিকারীর মামলায় হাইকোর্টের বিচারপতি মান্থার রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য সরকার। গতকালের রায়ে শুভেন্দুকে যে রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছে, তার বিরোধিতা করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিচারপতিদের অনুমতি নিয়ে দায়ের করা হয়েছে এই মামলা। আগামীকাল মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বড়সড় স্বস্তি পেয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রাক্তন নিরাপত্তারক্ষী খুনের অভিযোগ-সহ ৩টি মামলার তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত নির্দেশ দিয়েছে, কোনও মামলাতেই শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করা যাবে না। এমনকি, ভবিষ্যতে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও মামলা হলে, আদালতের নির্দেশ ছাড়া কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল রাজ্য।
তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া, পাঁচটি এফআইআর খারিজের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার সেই শুনানিতে, এই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। সওয়াল-জবাবের প্রেক্ষিতে তিনি আরও নির্দেশ দেন,মানিকতলা থানায় চাকরির নামে প্রতারণা ও তমলুকে পুলিশ সুপারকে হুমকি সংক্রান্ত মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে শুভেন্দু অধিকারীকে।তবে কোনও মামলাতেই তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না।আদালতের অনুমতি ছাড়া, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না পুলিশ ও সিআইডি।ভবিষ্যতেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও মামলা হলে, আদালতের নির্দেশ ছাড়া কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।
সওয়াল-জবাবের প্রেক্ষিতে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা নির্দেশ দেন, মানিকতলা থানা ও তমলুক থানার দু’টি মামলায় শুভেন্দু অধিকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিআইডি ও পুলিশ। তবেতিনি যেহেতু বিরোধী দলনেতা, তাঁর সুবিধা-অসুবিধা বিচার করতে হবে পুলিশ ও সিআইডি-কে। শুভেন্দু অধিকারী যেখানে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন, সেখানে সাক্ষ্য দিতে পারবেন।
৫টি মামলায় রক্ষাকবচ-সহ কলকাতা হাইকোর্ট এও নির্দেশ দেয় যে, ভবিষ্যতেও যদি শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কোনও মামলা হয়, তাহলেও আদালতের নির্দেশ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারির মতো কড়া পদক্ষেপ করা যাবে না।