কলকাতা: গতকালই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, ‘অনেক নির্দল ইতিমধ্যেই আমাদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। অনেক বিজেপি কর্মীও আবেদন জানিয়েছেন, যাঁরা আজ জিতেছেন। আমি বলেছি, পরে কথা বলব এ সব নিয়ে।’
মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধান। মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরই হাতেনাতে ফল।
কপাল থেকে এখনও পর্যন্ত গেরুয়া আবীরের দাগ ওঠেনি। তারই মধ্যে মমতার উন্নয়ন যজ্ঞে সামিল হলেন পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির এক জয়ী প্রার্থী।
মালদার মালবাজার ব্লকের কুমলাই গ্রাম পঞ্চায়েত। চারিদিকে যখন তৃণমূলের জয়জয়কার, তখন এই পঞ্চায়েতের একটি আসন জিতে নেন কলেজ পড়ুয়া সিন্টু রায়। রীতিমতো তৃণমূলের সঙ্গে পাঞ্জা কষে সত্তর ভোটে জিতে যান বিজেপি প্রার্থী সিন্টু। কিন্তু জয়ের পরই দলবদলের সিদ্ধান্ত। বললেন, রাজ্যের উন্নয়নের সামিল হতে চাই।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এই অঞ্চল এক সময় ছিল কংগ্রেসের দখলে। কিন্তু পরিবর্তিত সময়ে বিজেপির টিকিটেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন সিন্টু। কিন্তু সিন্টুই সম্ভবত সেই ব্যক্তি, যিনি ভোটের ফল প্রকাশের পর প্রথম, দলবদলের সিদ্ধান্ত নেন।
সিন্টুর এই সিদ্ধান্তে তৃণমূলের নেতারা খুশি। জলপাইগুড়ির তৃণমূল জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তীর দাবি, অনেকেই যোগাযোগ করছে, আমরা ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেব।
বিজেপির জেলা নেতৃত্ব মনে করছে, ভয়ে দল বদলে বাধ্য হচ্ছেন তাঁদের জয়প্রার্থী। বিজেপির জেলা সভাপতি দেবাশিস চক্রবর্তীর দাবি, শাসক দল লাগাতার সন্ত্রাস করছে, ভয়ে দল ছাড়ছে কেউ কেউ।
অন্যদিকে, বীরভূমের নলহাটি এক নম্বর ব্লকে এক কংগ্রেস ও এক নির্দল প্রার্থী দলের জেলা কার্যালয়ে এসে তৃণমূলের নাম লেখান। অনুব্রত মণ্ডল তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেন।
ভোটের আগে নেত্রী চেয়েছিলেন ১০০য় ১০০। ভোটে সেটা হয়নি অনেক জায়গাতেই। সেই খামতি পূরণ করতে খাতা কলম নিয়ে হিসেব শুরু করে দিয়েছেন জেলার নেতারা।