হুগলি:  সকাল সকাল ব্যস্ত বাজারে হাড় হিম করা ঘটনা! কালীপুজোর জন্য ফল কিনতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হলেন বাঁশবেড়িয়া পুরসভার  প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান।


ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল পৌনে ৯টা। বেলতলা বাজারে একটি ফলের দোকানের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন তৃণমূল নেতা তথা বাঁশবেড়িয়া পুরসভার  প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান আদিত্য নিয়োগী। 


স্থানীয় সূত্রে খবর, এক দুষ্কৃতী পিছন তাঁকে গুলি করে। তৃণমূল নেতা লুটিয়ে পড়তেই একজনের বাইকে চেপে পালিয়ে যায় ওই দুষ্কৃতী।


কোমরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তৃণমূল নেতাকে প্রথমে বাঁশবেড়িয়ার একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কলকাতায় রেফার করা হয় তাঁকে। 


তাঁর ওপর এই হামলার জন্য বাঁশবেড়িয়া পুরসভার তৃণমূল প্রশাসকের স্বামী সত্যরঞ্জন শীল ওরফে সোনাকে দায়ী করেছেন গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতা। বলেন, আমার একটাই শত্রু। সোনা শীল। একটার পর একটা মিথ্যে মামলা। আমাকে মেরে ফেলার চক্রান্ত।


অভিযুক্তের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। দলীয় নেতার ওপর হামলার ঘটনায় বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন সপ্তগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক। 


তপন দাশগুপ্ত বলেন, জমি নিয়ে বিবাদ। এগুলো যারা করছে, পার্টি তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে। ইলেকশনের আগে এরা বিজেপি করেছে। হারানোর সব রকম চেষ্টা করেছে। বরদাস্ত করা হবে না।


কিন্তু, এর উল্টো সুর শোনা গিয়েছে চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়কের গলায়। অসিত মজুমদার বলেন, হামলাকারীরা দলের নামে কলঙ্ক। এই কলঙ্কিত মানুষগুলোর জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদনাম হয়েছে। 


ঘটনার পর থেকে বেপাত্তা অভিযুক্ত। স্থানীয় সূত্রে খবর, ৮ মাসে আগে দলবিরোধী কাজের অভিযোগে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হয় সত্যরঞ্জন শীল ওরফে সোনাকে। 


বিজেপি শিবিরের দাবি, খাতায় কলমে দলে না ফিরলেও, এবারের ভোটে তৃণমূলের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন সোনা শীল। 


বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য প্রণয় রায় বলেন, এর সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগসূত্র নেই। তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছিলেন।


তৃণমূল নেতা গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর উত্তেজিত জনতা অভিযুক্তের এক ঘনিষ্ঠের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়।