পশ্চিম বর্ধমান: পুলিশ সেজে পুলিশেই চাকরি করে দেওয়ার নামে প্রতারণা! বাঁকুড়ার যুবকের অভিযোগ পেয়ে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার থেকে গ্রেফতার অভিযুক্ত। উদ্ধার প্রচুর ভুয়ো নথি, খেলনা পিস্তল। তদন্তে উঠে এসেছে আসানসোলের বাসিন্দা আরও এক ব্যক্তির নাম। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।


ব্যক্তি একজনই। কখনও তিনি মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের এসিপি! আবার তিনিই কখনও রাজ্য পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের জাঁদরেল অফিসার!

পুরুলিয়ার কাশীপুরের বাসিন্দা প্রসেনজিত্‍ চট্টোপাধ্যায় এভাবেই বিভিন্ন সময় নিজের পরিচয় দিতেন  বলে অভিযোগ। আর এই ভুয়ো পরিচয়ের আড়ালেই লুকিয়ে ছিল প্রতারণার ফাঁদ। তিনি নাকি  পুলিশে চাকরির ব্য়বস্থা করানোর নামে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তাঁর টোপ গিলে প্রায় দু’লক্ষ টাকা প্রতারণার শিকার হয়েছেন বাঁকুড়ার এক যুবক। প্রবীর প্রামাণিক নামে ওই যুবকের অভিযোগ, মুম্বইয়ে কাজ করতাম। লোকটা বলেছিল রাজ্য পুলিশের কনস্টেবলের চাকরি দেবে। প্রথমে এক লাখ টাকা, তারপর ৯৫ হাজার টাকা দিয়েছি। চাকরি দেয়নি। তারপর থানায় যোগাযোগ করি।
তদন্তে নেমে শুক্রবার রাতে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার থেকে প্রসেনজিত্‍-কে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের কাছে থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর ভুয়ো নথি, যেগুলি দেখিয়ে তিনি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লোক ঠকাতেন। কিন্তু প্রসেনজিতের দাবি, অনিরুদ্ধ বরাট নামে এক ব্যক্তির নির্দেশে এই প্রতারণার ফাঁদ পাতেন তিনি। যাবতীয় নথি অনিরুদ্ধের দেওয়া।

পুলিশ সূত্রে খবর, এই অনিরুদ্ধ  আসানসোলের বাসিন্দা। তাঁর খোজেও শুরু হয়েছে তল্লাশি। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি অভিষেক গুপ্ত জানান, বিভিন্ন গেস্টহাউসে উঠত। অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। অনিরুদ্ধ নামে একজনের নাম উঠে আসছে। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। এই প্রতারণা চক্রে আরও কেউ জড়িত কিনা, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।