হাবড়া: উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার মছলন্দপুর বিশরআটি এলাকায় স্ত্রী ও মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মেয়েকে খুন করার অভিযোগ উঠল গৃহকর্তার বিরুদ্ধে। ঘরের মধ্যে খাটের নীচে প্লাস্টিকে মোড়া অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে মৃতদেহদুটি।  পুলিশকে দেখেই অভিযুক্ত বাবা আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।


মৃতদের নাম পূজা দেবনাথ ও মিঠু দেবনাথ। ১৫ বছরের পূজা এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছিল। শনিবার পরীক্ষা দেওয়ার পরে ১৫ বছরের পূজা ও তার মা মিঠুকে আর দেখতে পাননি প্রতিবেশীরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল গৃহকর্তা শেখর দেবনাথ প্রতিবেশীদের লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়ছিলেন। তিনি আত্মহত্যা করারও হুমকি দেন বলে অভিযোগ।  খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে হাবড়া থানার পুলিশ। বাড়িতে ঢুকতে গেলে শেখর আত্মহত্যা করতে যান বলে দাবি। সে সময় খাটের নীচে মা ও মেয়ের প্লাস্টিকে মোড়া দেহদুটি উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশের দাবি, স্ত্রী ও মেয়েকে খুনের অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত শেখর দেবনাথ। খুনের পর স্বাভাবিক আচরণও নাকি করেন তিনি। খুনের পর মদ্যপান করেন ও বিরিয়ানি খান বলে দাবি করেছে পুলিশ। এমনকী বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাজারও করেছেন শেখর। এরই মাঝে বাড়ির সামনের রাস্তা নিয়ে পঞ্চায়েত সদস্যের সঙ্গে বচসাও বাধে তাঁর। অভিযোগ, শনিবার ১৫ বছরের  স্ত্রী ও মেয়ের মাথায় কাঠ দিয়ে মেরে থেঁতলে দেওয়ার পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাঁদের গলায় শাড়ির পাড়ের ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেন শেখর। আত্মীয়রা ফোন করে স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি তাঁদের বিভ্রান্ত করেন বলেও অভিযোগ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রচুর দেনা হয়ে যাওয়ায় শেখরের মানসিক স্থিতি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।