জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ির অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেজারি অফিসার নাদির শাহর রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় নয়া মোড়! খুনের অভিযোগে তাঁর স্ত্রী রাখিকে গ্রেফতার করল পুলিশ! শ্বশুরের অভিযোগে গ্রেফতার বউমা।


১৩ ডিসেম্বর রাতে জলপাইগুড়ির সরকারি আবাসন থেকে ২৮ বছরের তরুণ অফিসারের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বাসিন্দারা দাবি করেন, নাদিরের স্ত্রী এসে বলেন, আমার স্বামী গলায় দড়ি দিয়েছে! শিগগির চলুন! যদিও ১৫ ডিসেম্বর ময়নাতদন্তকারী দলের এক চিকিৎসকও বলেন, এটা আত্মহত্যার ঘটনা বলে তাঁদের মনে হচ্ছে না। আত্মহত্যার তত্ত্ব মানতে চায়নি পরিবারও। ১৫ তারিখ কোতয়ালি থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করে তারা। ওই দিনই সিল করে দেওয়া হয় আবাসন।

বুধবার মৃতের স্ত্রীকে নিয়ে আবাসনে যায় ফরেন্সিক দল। তারপর থেকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। পুলিশ সূত্রে দাবি, মৃত অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেজারি অফিসারের স্ত্রীর বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি মিলেছে। বারবার তিনি তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছিলেন। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নেয় পুলিশ।

কিন্তু কীভাবে মৃত্যু হল এই তরুণ সরকারি অফিসারের? নেপথ্যে কি সম্পর্কের টানাপোড়েন? মৃতের স্ত্রীর বাপের বাড়ির তরফে দাবি করা হয়েছে, একাধিক বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল নাদির শাহর। তা নিয়েই দাম্পত্য কলহ হত। পুলিশ সূত্রে দাবি, এই সরকারি অফিসারের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সংশ্লিষ্ট মহিলাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ডাকা হবে ওই সরকারি আবাসনের বাসিন্দা, জলপাইগুড়ির সিএমওএইচ-থ্রি দেবাশিস রায়কেও। কারণ ঘটনার রাতে তিনিই সরকারি অফিসারের প্রাথমিক চিকিৎসা করেছিলেন।