পূর্ব বর্ধমান: আর্শীবাদের পর পণের জন্য লাগাতার চাপ দেওয়ার অভিযোগ। পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাটে বাপের বাড়ি থেকে তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার।
আর্শীবাদের পর পণের জন্য লাগাতার চাপ দেওয়ায় বছর বাইশের তরুণী আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি পরিবারের। মৃতের নাম নাসমিরা খাতুন। গতকাল বাপের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তাঁর ঝুলন্ত দেহ।
পরিবার সূত্রে খবর, আড়াই বছর ধরে সম্পর্ক থাকার পর প্রতিবেশী যুবক নিশাদ কুমোরের সঙ্গে ওই তরুণীর বিয়ে ঠিক হয়। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার পাত্রের বাবা ৪ লক্ষ টাকা পণ দাবি করেন। শুক্রবার দুজনের আর্শীবাদ হয়। আর্শীবাদের পর রাতে নাসমিরাকে ফোন করে বাড়ি লিখে দিতে বলেন নিশাদ। বিয়ে ভেঙে দেওয়ার কথা বললে খুনেরও হুমকি দেয় বলে অভিযোগ।
মৃতের বাবা নাসিরুদ্দিন শেখ বলেন, আর্শীবাদ হয়েছিল। টাকা চেয়েছিল। খুন করে দেবে বলে। তার পরই আত্মঘাতী। মৃতের মা মেহেরনিকা বি বলেন, বাড়ি লিখে দিতে বলেছিল। মেয়েকে চাপ দিচ্ছিল। আত্মঘাতী হয় মেয়ে।
যদিও পণের কথা অস্বীকার করেছে পাত্রের পরিবার। পাত্রের দিদির দাবি, আর্শীবাদ হয়েছিল। অনেক দিনের সম্পর্ক। আমরা পণের দাবি করিনি। ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
গত মাসেই পণের জন্য গলসিতে শ্বাসরোধ করে গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ ওঠে। স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের বিরুদ্ধে দায়ের হয় খুনের অভিযোগ। গলসির সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এবার নাদনহাটের সমুদ্রগড়ের আদর্শপল্লী।