Yaas Cyclone LIVE : অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াস, আজ বেলা ১২টায় ল্যান্ডফল
Yaas Cyclone Live Updates in West Bengal ‘পূর্ব মেদিনীপুরে ৯০-১২০, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৮০-৯০, কলকাতায় ৭০-৮০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় ঝড় হতে পারে‘, জানাল আবহাওয়া দফতর
প্রবল থেকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে ইয়াস। লাল সতর্কতা জারি করা হল পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা উপকূলে। এমনই বার্তা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
এই মুহূর্তে বালেশ্বর থেকে ২৫০ কিমি দূরে ইয়াস। পারাদ্বীপ থেকে ১৬০ কিমি দূরে। দিঘা থেকে ২৪০ কিলোমিটার দূরে।
শক্তি বাড়িয়ে দিঘা-সাগরের আরও কাছে ইয়াস। সর্বোচ্চ ১৮৫ কিমি বেগে কাল বেলা ১২টায় আছড়ে পড়বে বালেশ্বরের কাছে। পূর্ব মেদিনীপুরে গতি হতে পারে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১২০ কিমি, দঃ ২৪ পরগনায় ঘণ্টায় ৮০-৯০ কিমি।
ইয়াসের আগে 'টর্নেডো'। হালিশহর, চুঁচুড়ায় টর্নেডোতে ৪০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। ৪-৫ জন আহত হয়েছেন। বেশ কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কলকাতা বিমানবন্দরে ইয়াস সতর্কতা। আগামীকাল সকাল ৮.৩০ থেকে সন্ধে ৭.৪৫ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বিমানবন্দর।
আগে থেকেই মোতায়েন ছিল বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা, এবার দিঘায় নামল সেনা। ইয়াস পরিস্থিতি সামলাতে আগেভাগে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ।
আমফান থেকে শিক্ষা নিয়ে আগেভাগে কলকাতায় চলছে গাছঘাছালির প্রলম্বিত অংশ কাটার কাজ। জল নিকাশির জন্য প্রস্তুত রাখা হচ্ছে পোর্টেবেল পাম্প।
মৌসম ভবন সূত্রে খবর, ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সময় দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনায় হাওয়ার গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার।
মৌসম ভবন সূত্রে খবর, ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সময় কলকাতায় ঘণ্টায় ৭০ থেকে ১০০ কিলোমিটার হাওয়ার গতিবেগ হতে পারে।
পূর্ব মেদিনীপুরে আগামীকাল ভোরে হাওয়ার গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সময় সর্বোচ্চ গতিবেগ পৌঁছোতে পারে ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটারে।
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। সতর্ক কলকাতা পুরসভা। ওয়াটগঞ্জ এলাকায় পুরনো বাড়ি থেকে সরানো হল বাসিন্দাদের। চলছে এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচার।
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। নবান্নে কন্ট্রোল রুমের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী।
কাল সকালে ওড়িশার ধামড়ার কাছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় পৌঁছে যাবে। বালেশ্বরের দক্ষিণ দিক থেকে অতিক্রম করবে ইয়াস। দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস। পূর্ব মেদিনীপুর কাল ভোরের ৯০-১২০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় ঝড়ের আশঙ্কা। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৮০-৯০ কিমি।
‘ঝড়ের কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা আছে। উপকূলবর্তী এলাকা প্লাবিত হতে পারে। ফেরি পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে। গুজবে কান দেবেন না। কলকাতায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। কলকাতায় আমফানের পুনরাবৃত্তি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কলকাতাবাসীর আমফানের মতো আতঙ্কে থাকার কারণ নেই।’ সাংবাদিক সম্মেলনে জানাল আবহাওয়া দফতর।
‘কাল সকালে ধামড়ার কাছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াস পৌঁছে যাবে। বালেশ্বরের দক্ষিণ থেকে কাছে থেকে অতিক্রম করবে ইয়াস। ২ মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস। পূর্ব মেদিনীপুর কাল ভোরে ৯০-১২০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৮০-৯০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় ঝড় হতে পারে। কলকাতায় ৭০-৮০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় ঝড় হতে পারে। সাংবাদিক সম্মেলনে জানাল আবহাওয়া দফতর।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস নিয়ে নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি বললেন, ‘আজ-কাল দুদিন টানার নজরদারি চলবে। সুরক্ষিত জায়গায় থাকুন। প্রয়োজন হলে সেনা নামানো হবে। সব এজেন্সির সঙ্গে কথা বলে সবাইকে তৈরি রেখেছি।’
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস নিয়ে নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি বললেন, ‘পূর্ণিমার ভরা কোটালের কারণে জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ৭৪ হাজার আধিকারিক ও কর্মী দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করছেন। প্রায় ২ লক্ষ পুলিশকর্মীকে কাজে লাগানো হয়েছে।’
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস নিয়ে নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি বললেন, ‘৯ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা পরিস্থিতির উপর নজরদারি চলছে। ব্লকে ব্লকে কন্ট্রোলরুম খুলে নজরদারি করা হচ্ছে। ল্যান্ডফলের পরই বোঝা যাবে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
দিঘা থেকে ৩২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। বালেশ্বর থেকে ৩৮০ কিলোমিটার এবং পারাদ্বীপ থেকে ২২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান ঘূর্ণিঝড়ের। আজই তা অতি শক্তিশালী ঘুর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। আগামীকাল বেলা বারোটায় তা আছড়ে পড়তে পারে স্থলভাগে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় দিঘায় নামানো হয়েছে সেনা। পৌঁছে গেছে ৭০ জনের দল। মোতায়েন হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী। চলছে মক ড্রিল। অতিরিক্ত ১০টি জাতীয় বিপর্যয় মোকবিলা টিম রাজ্যে মোতায়েন করা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আগাম সর্তকতা বীরভূমে। আজ দুবরাজপুর ব্লকের লোবা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত দেবীপুরচরে থাকা প্রায় ৭৫টি পরিবারকে স্থানীয় দেবীপুর চর প্রাথমিক বিদ্যালয় রিলিফ সেন্টারে রাখা হলো প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এলাকার বাসিন্দা সাধন বিশ্বাসের বক্তব্য আমাদের গ্রামের অবস্থান দুই নদীর মাঝখানে, একদিকে অজয় নদ আর অন্যদিকে হিংলো নদী। এই ঝড়ের তীব্রতা নাকি অনেক বেশি এজন্য প্রশাসন থেকে আমাদের এই প্রাথমিক বিদ্যালয় রাখা হয়েছে, আমাদের খাবারের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন।
সাগরদ্বীপের মহিষমারী গ্রামে বাঁধ ভেঙে জল ঢুকছে। খবর পেয়ে গ্রামে যায় পুলিশ বাহিনী। পূর্ব মেদিনীপুরের নয়াচরের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে মত্স্য দফতরের অতিথি নিবাসে। পাশাপাশি, হলদিয়ার নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আসছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। আজ মধ্যরাতে বা আগামীকাল সকালেই আছড়ে পড়বে বাংলা- ওড়িশা সীমান্তে। ইয়াস মোকাবিলায় তৈরি ওড়িশা সরকার। ওড়িশা র উদয়পুর সমুদ্র সৈকত টুরিস্ট স্পট এলাকার ব্যবসায়ীরা সমুদ্র তীর থেকে জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়ে গেছেন, যারা যাননি তারা শেষ মুহূর্তে নিয়ে যাচ্ছেন। মানুষজন জানালেন ওড়িশার প্রত্যেকটি ব্লকে একাধিক রেসকিউ সেন্টার খুলে রাখা হয়েছেন সেখানে মানুষজন এর খাওয়ার ও থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি ওড়িশার সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় এনডিআরএফ-এর তরফ থেকে চলছে মাইকিং।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আগামীকাল ভোরে আছড়ে পড়বে স্থলভাগে। তার আগে শহরের পাম্পিং স্টেশনগুলি ঘুরে দেখলেন কলকাতা পুরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের সদস্য তারক সিংহ। তিনি আজ মোমিনপুর পাম্পিং স্টেশন পরিদর্শন করেন। তারকের দাবি, পাম্পিং স্টেশনে গিয়ে তিনি দেখেন, পাইললাইন ভাঙা। ফিল্টার খারাপ। অথচ সময়মতো এই বিষয়গুলি পুরসভাকে জানানো হয়নি। ওই পাম্পিং স্টেশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে শোকজ করা হবে বলে জানান তিনি। বিদ্যুতের যাঁরা দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আগামীকাল ভোরে আছড়ে পড়তে পারে। তার প্রভাবে সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা। পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে আজ সকালে বৃষ্টি হয়েছে।
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। মৌসম ভবন সূত্রে খবর, আজ বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা থেকে ৩৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়। বালেশ্বর থেকে ৩৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান ঘূর্ণিঝড়ের।
আমফানের অভিজ্ঞতার পর এবার আগেভাগেই বিদ্যুতের তারের ওপর ঝুঁকে থাকা গাছের ডাল কাটতে নামল পুরসভা। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে কলকাতায় প্রবল ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা। সেই সময় গাছের ডাল পড়ে যাতে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে বিপত্তি না ঘটে, তার জন্য ডাল কাটার কাজ শুরু হয়েছে। আজ বেহালার রায় বাহাদুর রোডের বিভিন্ন জায়গায় গাছের ডাল কাটা হয়। গতকাল গাছের ডাল কাটা হয়েছে ঠাকুরপুকুরের বিভিন্ন জায়গায়। যোধপুর পার্কেও ভেঙে পড়া গাছ কেটে সরানো হয়েছে।
গোসাবায় ব্লকের দুর্গাদোয়ানি নদীর জলস্তর বাড়ায় বসে গিয়েছে নদীবাঁধ। আজ সকালে নদীবাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করেছেন গ্রামবাসীরা। পাশাপাশি, মাতলা নদীর জলস্তর বাড়ায় গ্রামবাসীরা নদীবাঁধে প্লাস্টিক, মাটি, দিয়ে বাঁধকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করছেন গ্রামবাসীরা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে শুরু বৃষ্টি। বাড়ছে নদীর জলস্তর। এরই মধ্যে সাগরের বঙ্কিম নগর ও সুমতি নগর এলাকায় বাঁধ মেরামতির কাজ খতিয়ে দেখেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা।
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। এর প্রেক্ষিতে রাজ্যের উপকূল এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরাতে শুরু করে দিয়েছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকখালি থেকে ১৬ হাজার বাসিন্দাকে সরানো হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা থেকে সরানো হয়েছে ১ লক্ষ ১০ হাজার বাসিন্দাকে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে ট্যুইট করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি ট্যুইট করেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থা একযোগে রাজ্যের সংস্থাগুলির সঙ্গে কাজ করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে জানাই, জীবনহানি ও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি রুখতে হবে। ভারতীয় বিমানবাহিনী ও মৌসম ভবনের প্রশংসনীয় ভূমিকার জন্য দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি আরও ভাল হয়েছে। ...দেশের সংবিধানে কেন্দ্র ও রাজ্যের একসঙ্গে কাজ করাটাই যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার ভিত্তি।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ধেয়ে আসছে। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস কর্মীরা যাতে দুর্গতদের সাহায্যে ঝাঁপিয়ে পড়েন, তার জন্য ট্যুইটে আবেদন জানালেন রাহুল গাঁধী। তিনি ট্যুইট করেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বঙ্গোপসাগর থেকে বাংলা ও ওড়িশার দিকে ধেয়ে আসছে। কংগ্রেস কর্মীদের কাছে আবেদন, দুর্গতদের সবরকম সাহায্য ও সুরক্ষার তাঁরা বন্দোবস্ত করুন। মেনে চলুন সতর্কতা।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় দিঘায় নামানো হচ্ছে সেনা। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, আজই এসে পৌঁছোচ্ছে সেনার ৭০ জনের দল।
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। মৌসম ভবন সূত্রে খবর, আজ সকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা থেকে ৪২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়। বালেশ্বর থেকে ৪৬০ কিলোমিটার এবং পারাদ্বীপ থেকে ৩৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান ঘূর্ণিঝড়ের।
পারাদ্বীপ ও সাগরদ্বীপের মধ্যে দিয়ে বালেশ্বরের কাছাকাছি এলাকা দিয়ে যাওয়ার কথা ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের। আগামীকাল ভোরে তা আছড়ে পড়তে পারে উপকূল অঞ্চলে। সেই সময় হাওয়ার সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার।
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। মৌসম ভবন সূত্রে খবর, আজ সকাল সাড়ে ৫টা নাগাদ পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, পূর্ব মেদিনীপুরে এই ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইতে পারে কলকাতায়।
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। আগামীকাল সকালেই তা আছড়ে পড়বে স্থলভাগে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, পূর্ব মেদিনীপুরে এই ঘূর্ণিঝড়ের সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার।
আগামী ১২ ঘণ্টায় আরও শক্তিশালী ইয়াস। কাল থেকে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উঃ ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বুধবার দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে অতি ভারী বৃষ্টি।
ওড়িশা দিয়ে ঢুকছে ইয়াস। স্থলভাগে ঢোকার সময় সমুদ্রে ২ থেকে ৪ মিটার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা। ওড়িশা-বাংলা হয়ে ঝাড়খণ্ডের দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা। ২৭ মে উত্তরবঙ্গ-সহ সিকিমেও বৃষ্টির সম্ভাবনা।
ক্রমশ উত্তাল হয়ে উঠছে সমুদ্র। দিঘা থেকে ৫৪০ কিমি দূরে ঘূর্ণিঝড়।রাত থেকেই কলকাতা-সহ উপকূলবর্তী এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া, দফায় দফায় বৃষ্টি। ব্ল্যাক স্টোন দিয়ে তাজপুরে জলোচ্ছ্বাস আটকানোর চেষ্টা।
ইয়াস-আশঙ্কায় প্রহর গুণছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। বকখালি, কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমায় গ্রামে গ্রামে গিয়ে সতর্কতামূলক প্রচার পুলিশ, এনডিআরএফের। ড্রোনে চলছে নজরদারি। নিরাপদ জায়গায় সরানো হচ্ছে স্থানীয়দের।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে কলকাতায় ঝড়ের সর্বোচ্চ গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার। জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। হতে পারে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি।
সাগরদ্বীপ ও পারাদ্বীপের মাঝখানে বুধবার বালাসোরের কাছে হবে ইয়াসের ল্যান্ডফল।
হিঙ্গলগঞ্জে ইয়াস সতর্কতা। ইছামতী নদীর ধারে বসবাসকারীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে নিরাপদ স্থানে।
এই মুহূর্তে দিঘা থেকে ৫৮০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস।
এমনিতেই রাজ্যে আংশিক লকডাউনের কড়াকড়ি, তার ওপর ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ভ্রূকুটি। এই দুইয়ের জেরে হাওড়ায় ফেরিঘাট আপাতত সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হল।
আমফানের চেয়েও ভয়ঙ্কর হতে পারে ইয়াস। রাজ্যের ২০টি জেলায় মারাত্মক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা। সতর্ক থাকার বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর।
ইয়াসের জেরে দুই ২৪ পরগণায় ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আছড়ে পড়তে পারে সুন্দরবনে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের তরফে। সুন্দরবনের গোসাবা ব্লকের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখলেন বারুইপুর পুলিশ জেলার, ক্যানিংয়ের মহকুমাশাসক সহ সহ প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই গোসাবা ব্লকের নদী তীরবর্তী এলাকা থেকে উদ্ধার কেন্দ্রে সরিয়ে আনা হচ্ছে মানুষজনকে। অন্যদিকে এদিনও গোসাবা সহ সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় সেচ দফতরের তরফে দুর্বল বাঁধগুলি মেরামতির কাজ হয়েছে। বাসন্তীর সুকান্ত কলেজে তৈরি করা হয়েছে ত্রাণ শিবির। সরিয়ে আনা হয়েছে প্রায় এক হাজার জন স্থানীয় বাসিন্দাকে
চাকায় চেন দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে ট্রেনের বগি। ঝড়ের সময় যেন কোনও দুর্ঘটনা না হয়, সেই জন্য গার্ডের কোচের হ্যান্ড পাওয়ার ব্রেকও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শালিমার রেল ইয়ার্ডে দেখা গেল এই ছবি।
সাইক্লোন নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন,‘সেনাবাহিনীকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
সরকারের সব এজেন্সিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বুধবার দুপুরে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়। আমরা ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় তৈরি আছি।’
সাইক্লোন নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘আমফানের সময়ও বলা হয়েছিল আর্থিক সাহায্য করা হবে। রাজ্যের টাকা থেকেই রাজ্যকে সাহায্য করা হয়েছিল। আমরা কেন বারবার বঞ্চিত হব?’
সাইক্লোন নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন,‘৫১টি বিপর্যয় মোকাবিলা দল মোতায়েন করা হয়েছে। রাজ্যে ৪ হাজার সাইক্লোন শেল্টার। বিদ্যুৎ বিপর্যয় মোকাবিলায় ১ হাজারটি দল প্রস্তুত আছে। ১০ লক্ষ মানুষকে সরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
সাইক্লোন নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘মৎস্যজীবীদের বলছি, সমুদ্রে মাছ ধরতে যাবেন না। জীবন অনেক দামী। আপনি বাঁচলে আপনার সংসার বাঁচবে।
সাইক্লোন নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘৪০০০ ত্রাণশিবির তৈরি। ত্রাণশিবির গুলিতে করোনা বিধি মানার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জীবনটা অনেক বড়। সাবধানে থাকুন।‘
চাকায় চেন দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে ট্রেনের বগি। ঝড়ের সময় যেন কোনও দুর্ঘটনা না হয়, সেই জন্য গার্ডের কোচের হ্যান্ড পাওয়ার ব্রেকও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শালিমার রেল ইয়ার্ডে দেখা গেল এই ছবি।
ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলার প্রস্তুতিতে পুরসভার আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন এনডিআরএফ-এর সদস্যরা।
আমফানের কথা মাথায় রেখে এবার ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আগে পুলিশ ও সিইএসসি-র যৌথ প্রচার। বিদ্যুৎ বিভ্রাট এড়াতে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা জানানো হচ্ছে কালিকাপুরের বাসিন্দাদের।
আমফানের ক্ষত সেরে ওঠার আগেই এবার ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আশঙ্কা। আতঙ্কিত দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জের বালিয়াড়া গ্রামের বাসিন্দারা। আমফানের জেরে সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাসের কারণে প্লাবিত হয়েছিল গোটা গ্রাম। ভেঙে পড়েছিল বহু ঘরবাড়ি। একবছর কেটে গেলেও এখনও স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারেনি বালিয়াড়া গ্রাম। তার মাঝেই ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা বাড়িয়েছে উদ্বেগ। শেষ সম্বলটুকুও হারিয়ে ফেলার আশঙ্কা সর্বক্ষণ তাড়া করে ফিরছে। যদিও ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রশাসনিক সহযোগিতার আগাম আশ্বাস দিয়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথন ও কাকদ্বীপের তৃণমূল বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা।
ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় পর্যটকশূন্য মন্দারমণি সৈকত। সকাল থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি।সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। প্রভাব দেখাতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। প্রশাসনের তরফে চলছে সতর্কতামূলক প্রচার।
ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে কৃষকদের সতর্ক করছে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন। সারেঙ্গা ব্লকে বিডিও-র উদ্যোগে গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাগুলোতে ঘুরে ঘুরে মাইকে চলছে প্রচার। কৃষি দফতরের কর্মীরা ছাড়াও সঙ্গে রয়েছে পুলিশ। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ফসল আগেভাগে কেটে নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া দুর্যোগ মোকাবিলায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। সমস্যায় পড়লে হেল্প লাইন নম্বরে যোগাযোগ করতে পরামর্শ দিয়েছে ব্লক প্রশাসন।
গতি বাড়িয়ে আগেই আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ ইতিমধ্যেই পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ে। ধেয়ে আসছে বাংলা-ওড়িশা উপকূলের দিকে। বুধবার দুপুরের পরই আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’
আমফানের কথা মাথায় রেখে হুগলির উত্তরপাড়া-কোতরং পুরসভার তরফে মাটির বাড়ি ও বিপজ্জনক বাড়ি থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে আনা হচ্ছে। ভদ্রকালী হাইস্কুলে তাদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অন্যদিকে, শ্রীরামপুর পুরসভার তরফে রাস্তার ধারে বিপজ্জনক অবস্থায় থাকা গাছের ডাল ছাঁটার কাজ চলছে। মাইকে প্রচার করে গঙ্গা তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করা হচ্ছে।
আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘির মণি নদীর বাঁধ। একবছর পর ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আসার আগে আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা। বাঁধ ভেঙে ফের এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা। দিনকয়েক আগে এই এলাকায় বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
স্পিড বোটে চড়ে সাগরের কচুবেড়িয়ায় নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের মাইকে সতর্ক করছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। নদীপথে চলছে টহলদারি।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের মোকাবিলায় প্রস্তুতি। ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার তাম্বুলদহ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় মাতলা নদীর পাড় ধরে বাঁধ মেরামতি শুরু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামতির পাশাপাশি, জলোচ্ছ্বাস আটকাতে বাঁধ উঁচুও করা হচ্ছে। প্রশাসনের সঙ্গে হাত লাগিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পুলিশ ও ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর তরফে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফ্রেজারগঞ্জে মত্স্য বন্দর লাগোয়া নদীপথে চলছে নজরদারি। মাইকে প্রচার করে নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে বলা হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুরে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় গার্ডওয়াল তৈরির কাজ অসমাপ্ত। তাই ব্ল্যাক স্টোন ফেলে জলোচ্ছ্বাস আটকানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাজপুর লাগোয়া চাঁদপুরে গার্ডওয়াল থাকা সত্ত্বেও তার উপর নেট ও বালির বস্তা ফেলে উঁচু করা হচ্ছে। যাতে সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস আটকানো যায়।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি নিয়ে বিকেলে বৈঠকে মুখ্যসচিব। জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক। ভার্চুয়ালি বৈঠক করবেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
আমফানের কথা মাথায় রেখে এবার ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আগে পুলিশ ও সিইএসসি-র যৌথ প্রচার। বিদ্যুৎ বিভ্রাট এড়াতে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তা জানানো হচ্ছে কালিকাপুরের বাসিন্দাদের।
শঙ্করপুরে সাইরেন বাজিয়ে চলছে পুলিশের প্রচার। স্থানীয় বাসিন্দা ও মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হচ্ছে। পাশাপাশি, মাছ ধরার নৌকাগুলোকে এনে সার বেঁধে রাখা হয়েছে জেটিতে।
ঘূর্ণিঝড়ের পরেই দেখা দেয় পানীয় জলের সঙ্কট। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবার উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে আগাম ব্যবস্থা নিল জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতর। বেসরকারি সংস্থার সহায়তায় পুকুরের জল যন্ত্রের সাহায্যে পরিশোধন করে তৈরি করা হচ্ছে সাড়ে ৩০০ মিলিলিটারের জলেরা পাউচ। এগুলো ত্রাণ ও উদ্ধারকাজে ব্যবহার করা হবে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় প্রস্তুতি-বৈঠকে অমিত শাহ। পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক। উপস্থিত রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঘূর্ণিঝড়ের পরেই দেখা দেয় পানীয় জলের সঙ্কট। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবার উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে আগাম ব্যবস্থা নিল জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতর। বেসরকারি সংস্থার সহায়তায় পুকুরের জল যন্ত্রের সাহায্যে পরিশোধন করে তৈরি করা হচ্ছে সাড়ে ৩০০ মিলিলিটারের জলেরা পাউচ। এগুলো ত্রাণ ও উদ্ধারকাজে ব্যবহার করা হবে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আশঙ্কায় দিঘা উপকূলে জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। কাল রাতে সমুদ্র-শহরে বৃষ্টি হয়েছে। সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া। সকাল থেকে মাঝেমধ্যেই আকাশের মুখভার। দিঘার সমুদ্র আপাতত শান্ত। ধূ-ধূ করছে সৈকত। মাইকে সতর্কতামূলক প্রচার চলছে। আশপাশের এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।
করোনা আবহে বেশ কিছুদিন ধরেই বকখালির সমুদ্র সৈকত পর্যটকশূন্য। তার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় খাঁ খাঁ করছে আশপাশের এলাকা। ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় বাড়ি-দোকান মেরামতির কাজ শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা।
কাকদ্বীপ-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকায় আবহাওয়ার পরিবর্তন। সকাল থেকে মেঘলা আকাশ। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের মোকাবিলায় প্রস্তুত প্রশাসন। গ্রামে গ্রামে গিয়ে সতর্কতামূলক প্রচার করছে পুলিশ। ড্রোনের মাধ্যমেও চলছে নজরদারি।
ঘূর্ণিঝড় আসার আগেই ত্রাণকাজে দুর্নীতি রুখতে সক্রিয় তৃণমূল বিধায়ক। গতকাল সোনারপুরে এক বৈঠকে পঞ্চায়েত ও পুরসভা এলাকায় দলীয় কর্মী ও স্থানীয় প্রশাসনকে সতর্ক থাকার বার্তা দিলেন সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক লাভলি মৈত্র। বিধায়ক জানিয়েছেন, গ্রামীণ এলাকায় প্রতিটি পঞ্চায়েত ও পুর এলাকায় ওয়ার্ড অফিসে খোলা হবে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। মাটির বাড়ি অথবা বিপজ্জনক বাড়ি থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হবে। দলমতনির্বিশেষে সাধারণ মানুষের পাশে থাকবে প্রশাসন, এই বার্তা দেন লাভলি মৈত্র।
সোমবার সকালে দিল্লির মৌসম ভবন থেকে জানানো হল, ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত ইয়াস। এখন এক জায়গায় দাঁড়িয়ে শক্তি সঞ্চয় করছে ইয়াস। আজ সন্ধে থেকে সম্ভবত এগোতে শুরু করবে। দিঘা থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ইয়াস।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বাংলার জন্য তৈরি ৮ কলাম সেনা ও ইঞ্জিনিয়ারের টাস্ক ফোর্স। বাংলা ও ওড়িশা উপকূলে প্রস্তুত ৮টি উদ্ধারকারী দল। দ্রুত উদ্ধারে প্রস্তুত নৌবাহিনীর ৯টি বিমান, ২৫টি হেলিকপ্টার।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বিশেষ দায়িত্বে কলকাতা পুলিশ। সৌমেন মিত্রর নেতৃত্বে এনডিআরএফ, বিএসএনএল, সইএসসি-র আধিকারিকদের নিয়ে তৈরি বিশেষ টিম। কেএমসি-র তরফেও প্রতি বরোতে থাকবে পৃথক দল।
পর্যটক শূন্য দিঘা, তাজপুরে মোতায়েন এনডিআরএফ, এসডিআরএফ। উড়ছে ড্রোন, নজর রাখছে কপ্টার। সুন্দরবন, বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জে চলছে নজরদারি। বাসিন্দাদের সরানো হচ্ছে নিরাপদ স্থানে।
দক্ষিনবঙ্গে শুরু হল বৃষ্টি-ঝোড়ো হাওয়া। মঙ্গলবার উপকূলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। বুধবার কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে অতিভারী বৃষ্টি। বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গেও।
দিঘা থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে গভীর নিম্নচাপ। সোমবার রূপ নেবে সাইক্লোনে। মঙ্গলবারই অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে ‘ইয়াস’। প্রবল হাওয়ায় ২০ ফুট পর্যন্ত উঠতে পারে ঢেউ।
প্রেক্ষাপট
ভয়াবহ করোনা সংক্রমণের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ভ্রুকুটি। বুধবার সন্ধেয় পারাদ্বীপ ও সাগরের মধ্যবর্তী এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। গতিবেগ ঘণ্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিমি।
দিঘা থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে গভীর নিম্নচাপ। সোমবার রূপ নেবে সাইক্লোনে। মঙ্গলবারই অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে ‘ইয়াস’। প্রবল হাওয়ায় ২০ ফুট পর্যন্ত উঠতে পারে ঢেউ।
দক্ষিনবঙ্গে শুরু হল বৃষ্টি-ঝোড়ো হাওয়া। মঙ্গলবার উপকূলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। বুধবার কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে অতিভারী বৃষ্টি। বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গেও।
পর্যটক শূন্য দিঘা, তাজপুরে মোতায়েন এনডিআরএফ, এসডিআরএফ। উড়ছে ড্রোন, নজর রাখছে কপ্টার। সুন্দরবন, বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জে চলছে নজরদারি। বাসিন্দাদের সরানো হচ্ছে নিরাপদ স্থানে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বিশেষ দায়িত্বে কলকাতা পুলিশ। সৌমেন মিত্রর নেতৃত্বে এনডিআরএফ, বিএসএনএল, সইএসসি-র আধিকারিকদের নিয়ে তৈরি বিশেষ টিম। কেএমসি-র তরফেও প্রতি বরোতে থাকবে পৃথক দল।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় বাংলার জন্য তৈরি ৮ কলাম সেনা ও ইঞ্জিনিয়ারের টাস্ক ফোর্স। বাংলা ও ওড়িশা উপকূলে প্রস্তুত ৮টি উদ্ধারকারী দল। দ্রুত উদ্ধারে প্রস্তুত নৌবাহিনীর ৯টি বিমান, ২৫টি হেলিকপ্টার।
ইয়াস নিয়ে দিল্লিতে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি পর্যালোচনা। বৈঠক শেষে সকলের কল্যাণ কামনা করে বাংলায় ট্যুইট মোদির। জমা জলের বিপত্তি এড়াতে প্রস্তুত কলকাতা পুরসভা।
রাজ্যে কার্যত লকডাউনে ইয়াস সর্তকতায় শিথিলতা। কৃষি, উদ্যানবিদ্যা, ফুলচাষের সঙ্গে জড়িত পরিবহণ, সার, বীজ বিক্রি ও গ্রামোন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ কাজে ছাড়।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -