নয়াদিল্লি: নোভেল করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় অস্ত্র হতে পারে স্টেরয়েড ডেক্সামেথাসোন? এক পরীক্ষার মাধ্যমে এ ব্যাপারে বড় ধরনের ইতিবাচক ফল সামনে আসার কথা জানানো হয়েছে। সেই ট্রায়ালে প্রকাশ, সবচেয়ে মারাত্মক কোভিড-১৯ সংক্রামিত ব্যক্তিদের অর্থাত, যাঁরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রবল সঙ্কটে পড়েছেন, তাঁদের এক তৃতীয়াংশের জীবন রক্ষা পেয়েছে এই স্টেরয়েড প্রয়োগ করে চিকিতসায়।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে ভারত সহ বিশ্বের নানা দেশে। যদিও ভারতে সুস্থ হয়ে ওঠার হারও বাড়ছে বলে দাবি কেন্দ্রের। এর মধ্যে যে চিন থেকে সংক্রমণের শুরু, সেখানে ফের বড় চেহারায় নতুন করে সংক্রমণ হচ্ছে। এর মধ্যেই বিশ্বব্যাপী গবেষণা, পরীক্ষানিরীক্ষা চলছে এর প্রতিষেধক ভ্যাকসিন আবিষ্কারের। নানা দেশে নানা পর্যায়ে রয়েছে ট্রায়াল।
উল্লেখ্য, বর্তমানে সারা দুনিয়ায় কোভিড-১৯ চিকিত্সায় কোনও সর্বজনগ্রাহ্য বা স্বীকৃত চিকিত্সা পদ্ধতি নেই। তবে এতদিন ম্যালেরিয়া সারানোর ওষুধ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন প্রয়োগ করা হয়েছে বা হচ্ছে করোনা সংক্রামিতদের ওপর। এইচআইভি চিকিত্সায় লাগা রেমসিডিভিরও কাজে লাগে কিনা, জানতে পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে।
এবার দাবি করা হল, মারাত্মক কোভিড-১৯ এর উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া লোকজনকে হাল্কা ডোজের স্টেরয়েড ডেক্সামেথাসোন দিয়ে দেখা যাচ্ছে, প্রায় এক তৃতীয়াংশের মধ্যে মৃত্যুহার কমেছে। ব্রিটেনের নেতৃত্বাধীন এই ক্লিনিকাল ট্রায়ালের সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানীদের দাবি, এটা বড় ধরনের ব্রেক থ্রু! এই ট্রায়ালের নাম দেওয়া হয়েছে রিকভারি। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ট্রায়ালের ফলাফলে এই সিদ্ধান্তে আসা যায় যে, এই ওষুধটিকে অবিলম্বে করোনাভাইরাস অতিমারীর লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন লোকজনকে দেওয়া উচিত। বিজ্ঞানী দলের সহকারী নেতা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসক মার্টিন ল্যান্ডরে বলেছেন, এই ফলে দেখা যাচ্ছে., যদি কোভিড-১৯ সংক্রামিত রোগীরা ভেন্টিলেটরে থাকেন বা অক্সিজেন সাপোর্টে থাকেন, তবে তাঁদের ডেক্সামেথাসোন দেওয়া হলে জীবন বাঁচবে, এবং উল্লেখ করার মতো কম খরচে এটা হবে।


তাঁর সহকারী পিটার হর্বি বলেছেন, জেনেরিক স্টেরয়েড ডেক্সামেথাসোন অন্যান্য অসুখের ক্ষেত্রে প্রদাহ কমাতে দেওয়া হয়। এটাই এখনও পর্যন্ত একমাত্র ওষুধ যা মৃত্যু উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় কমানোর ক্ষমতা দেখিয়েছে। এটা বিরাট মোড় এনে দিল।