নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে করোনা ত্রাসের মধ্যেই ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে আছড়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় তৌকতাই। লাক্ষাদ্বীপ এবং আরব সাগরে নিম্নচাপ গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। পশ্চিম উপকূল সহ গুজরাত জুড়ে সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে মুম্বই, থানে অঞ্চলে। গেরুয়া এবং লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে যথাক্রমে গুজরাত এবং কেরলে।
ইতিমধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছে কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ৫ রাজ্য গুজরাত, মুম্বই, কেরল, তামিলনাড়ু এবং কর্নাটকে মোতায়েন করা হয়েছে ৫৩টি দল। যার মধ্যে ২৪ বাহিনীকে ইতিমধ্যেই মোতায়েন করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট রাজ্যে। ২৯ বাহিনীকে পরিস্থিতি বুঝে মোতায়েন করা হবে। গতকাল, শুক্রবার এনডিআরএফ প্রধান ট্য়ুইট করে এই খবর জানিয়েছেন। একইসঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলায় থাকবে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, ভারতীয় নৌসেনা।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে রাজস্থান, হরিয়ানা সহ দিল্লির একাধিক জেলায়। সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়াও। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে কেরলে। মৌসম ভবন বলছে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। রবিবারের মধ্যে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়। প্রাথমিকভাবে উত্তর থেকে উত্তর পূর্ব দিকে যাবে ঘূর্ণিঝড়। ১৮মে-র মধ্যে উত্তর থেকে উত্তর পশ্চিম দিকে গুজরাতের কাছে আছড়ে পড়বে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, লাক্ষাদ্বীপে আজ থেকে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হবে। বৃষ্টিপাত চলবে রবিবার পর্যন্ত। কেরলে সোমবার পর্যন্ত ঝড় বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। একইসঙ্গে নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টিপাত হবে মুম্বই, কঙ্কন, রত্নগিরি, গোয়াতেও। মৌসম ভবন সূত্রে খবর, মহারাষ্ট্রের উপকূলবর্তী অঞ্চলে বইবে ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া। আগামী মঙ্গলাবার ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়বে গুজরাতে। সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে উপকূলবর্তী অঞ্চল সহ সমুদ্রে মৎসজীবীদের যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যাঁরা গিয়েছিলেন তাঁদেরও ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে।