নয়াদিল্লি: সোমবার রাতে কেঁপে উঠল উত্তর ভারত (North India)। দিল্লি (Delhi) ও তাঁর আশেপাশের এলাকায় শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয়। চিনের (China Earthquake) দক্ষিণ জিনঝিয়াং অঞ্চলে ভূমিকম্প হয় যার রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৭.২।
চিনে ভূমিকম্প, কেঁপে উঠল দিল্লি
চিনে ভূমিকম্পের ফলে কেঁপে ওঠে দিল্লির কিছু অংশও। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তরফে জানানো হয়, '৭.২ মাত্রার ভূমিকম্প, ২২ জানুয়ারি ২০২৪ সালের রাত ১১টা বেজে ৩৯ মিনিট ১১ সেকেন্ডে অনুভূত হয়, চিনের সাদার্ন ঝিনজিয়াং অঞ্চলে।
ভূমিকম্পটি ৮০ কিলোমিটার গভীরে হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত ভূমিকম্পের জেরে কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর সামনে আসেনি।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের শুরুতেই ভূমিকম্পের মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছিল জাপানে। তীব্র ভূমিকম্পে জাপানে (Japan Earthquake) ফিরে আসে ২০১১ সালের ভয়ঙ্কর সুনামি-আতঙ্ক (Tsunami Scare)। সুনামি-সতর্কতার (warning) মধ্যে ওয়াজিমা শহরে আছড়ে পড়ে বিশাল ঢেউ। ভূমিকম্পের ১০ মিনিটের মধ্যেই ১২ ফুটের ঢেউ আছড়ে পড়ে ওয়াজিমা বন্দরে। রিখটার স্কেলে (Richter Scale) কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৬, ভাঙে বহু বাড়ি।
তার মাত্র দিন চারেক আগেই জাপানে পর পর তীব্র কম্পন অনুভূত হয়। গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের কুরলি দ্বীপপুঞ্জ এলাকায় পর পর দু'বার তীব্র কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৫ এবং ৫.০। আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভে-র (USGS) তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো বেজে ৪৫ মিনিটে প্রথম বার তীব্র কম্পন অনুভূত হয়। প্রথমে ৬.৫ তীব্রতায় কেঁপে ওঠে ওই এলাকা। তার পর, দুপুর ৩টে বেজে ৭ মিনিটে আবারও কেঁপে ওঠে মাটি। সেই সময় রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৫.০। ২০২৩ সালে বছরভরই কম্পন অনুভূত হয়েছে জাপানে। গত ডিসেম্বর মাসের শুরুতেও সেখানে ভূমিকম্প হয়। সেবার রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৭.৫। ফিলিপিন্সের দক্ষিণের মিনদানাওয়ে ভূমিকম্প হয়, তার জেরে কেঁপে ওঠে জাপানও। তার আগে, মে মাসেও ৬.৫ তীব্রতায় কেঁপে ওঠে জাপানের পশ্চিমের ইশিকাওয়া এলাকা। তাতে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়। আহত হন বহু মানুষজন। ফেব্রুয়ারি, মার্চ এবং অগাস্ট মাসেও ভূমিকম্প হয়েছে জাপানে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।