কলকাতা: আড়াই বছর পর ছাত্রভোটের দরজা খুলেছে সরকার। বৃহস্পতিবারই উচ্চশিক্ষা দফতর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছিল-- প্রেসিডেন্সি, যাদবপুর, রবীন্দ্রভারতী এবং ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রভোট করা হবে। এই চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কোনও কলেজ নেই। কিন্তু এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর প্রশ্ন উঠেছিল, বাকি বিশ্ববিদ্যালয় ও তাদের অধীনে থাকা কলেজগুলির ছাত্রভোটের ক্ষেত্রে কী হবে?
শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে এপ্রসঙ্গে মুখ খোলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ছাত্রভোট হবে আগামীদিনে। এদিন তিনি জানান, এ বিষয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, সরকারের বিজ্ঞপ্তির বয়ান নিয়ে। বৃহস্পতিবার চারটি বিশ্ববিদ্যালয়কে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উচ্চশিক্ষা দফতর জানিয়েছে, ছাত্র কাউন্সিল বা ছাত্র ইউনিয়ন, যার ক্ষেত্রে যা মানানসই, সেই পদ্ধতিতে ছাত্রভোট করাবে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ই ভোটের দিনক্ষণ ঠিক করবে।
এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, ছাত্র কাউন্সিল নিয়ে বিজ্ঞপ্তি যখন আগেই প্রকাশ করা হয়েছে, তখন পুরনো পদ্ধতিতে ছাত্র ইউনিয়নের ভোট কীভাবে সম্ভব? ছাত্র কাউন্সিলের বিধিতে একাধিকবার সংশোধনী এসেছে। কিন্তু তার মূল কাঠামো সেন্ট জেভিয়ার্সের আদলে।
যেখানে বলা হয়েছে, নতুন মডেলে ছাত্র সংসদ হবে স্টুডেন্টস কাউন্সিল। ২ বছর অন্তর হবে ছাত্রভোট। ভোটপর্ব চলাকালীন বা প্রচারের সময় রাজনৈতিক দলের পতাকা বা ব্যানার ব্যবহার নিষিদ্ধ।
চারটি বিশ্ববিদ্যালয়কে পাঠানো উচচশিক্ষা দফতরের বৃহস্পতিবারের বিজ্ঞপ্তির পর প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি সরকার ছাত্র কাউন্সিলের মাধ্যমে ছাত্রভোট করার সদিচ্ছা থেকে পিছিয়ে আসছে? সরকারি তরফে এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর মেলেনি।