মুম্বই: সুভাষ ঘাইয়ের পরদেশ ছবি দিয়ে তাঁর বলিউডে পা রাখা। কিন্তু মহিমা চৌধুরী অভিযোগ করেছেন, সুভাষ ভয় দেখাতেন, হুমকি দিতেন তাঁকে। এমনকী অন্য প্রযোজকদের বলে রেখেছিলেন, যেন তাঁকে সুযোগ না দেওয়া হয়। মহিমার দাবি, শুধু সঞ্জয় দত্ত এবং সলমন খান সে সময় তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।


যদিও সুভাষ বলেছেন, মহিমার অভিযোগ শুনে তিনি অবাক। বরং মজাই লাগছে। মহিমার সঙ্গে এখনও তাঁর খুব ভাল বন্ধুত্ব, এসএমএসের মাধ্যমে যোগাযোগ রয়েছে। তিনি অত্যন্ত ভাল ও পরিণত মনের মহিলা। দিনকয়েক আগেই তিনি বলেছেন, পরদেশ ছবির ২৩ বছর পরেও এখনও তিনি যেখানে যান, সেখানেই তাঁকে অভ্যর্থনা করা হয় আই লাভ মাই ইন্ডিয়া গান চালিয়ে।

তবে ছবির সময় মহিমার সঙ্গে ঝামেলার অভিযোগ মেনে নিয়েছেন সুভাষ। তাঁর বক্তব্য, সাতানব্বই সালে পরদেশ মুক্তির সময় ছোট একটা ঝামেলা হয়েছিল। ছবিটা সুপারহিট হয়, মহিমা সে জন্য সেরা অভিনেত্রীর ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান। চুক্তির শর্ত লঙ্ঘনের জন্য সুভাষের কোম্পানি মুক্তা আর্টস শো কজ নোটিশ পাঠায় তাঁকে। কিন্তু এ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে হইচই হয়, বলিউডও বিষয়টা ভাল চোখে দেখেনি। তাই তাঁরা পিছিয়ে আসেন, মুক্তা আর্টসের সঙ্গে মহিমার চুক্তি বাতিল করা হয়।

সুভাষের দাবি, ৩ বছর পর মহিমা তাঁর পরিবার নিয়ে তাঁর কাছে আসেন, নিজের ব্যবহারের জন্য ক্ষমা চান। তিনি ক্ষমা করে দেন তাঁকে, ফের তাঁরা বন্ধু হয়ে যান। মহিমা হাসিখুশি, ভাল মনের মহিলা, তাঁকে তিনি বিশ্বাস করেন। কারও প্রশ্নের জবাবে তিনি যদি বলে থাকেন, তাঁকে ভয় দেখানো হয়েছিল, তবে নিশ্চয় ঠিক বলেছেন। মহিমার সঙ্গে এ ব্যাপারে একমত না হলেওতাঁকে সম্মান করেন সুভাষ। ২০১৫-য় তাঁর শেষ ছবি কাঞ্চী-তে মহিমা অতিথি শিল্পীর ভূমিকায় অভিনয় করেন, এ জন্য তিনি কৃতজ্ঞ। সুভাষ ঘাই বলেছেন।