কলকাতা: করোনা আবহে দেড়মাস বন্ধ থাকার পর গতকালই চালু হয়েছে বাস পরিষেবা। তবে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম চলল বেসরকারি বাস। গতকালের মতো বেরিয়েছে সরকারি বাস। পথে বেরিয়ে দুর্ভোগে যাত্রীরা।
বিমানবন্দর এলাকায় সকাল সাড়ে ৭টাতেও রাস্তায় খুব একটা চোখে পড়েনি বেসরকারি বাস। নাগেরবাজার বাসস্ট্যান্ড থেকে গতকাল কোনও বেসরকারি বাস বেরোয়নি। আজও একই ছবি। আজও বেরোয়নি বাস। ফলে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। একইরকম ছবি শ্যামবাজারে। আজ সকালে সরকারি বাস রাস্তায় চোখে পড়লেও বেসরকারি বাস একেবারে হাতে গোনা। ফলে রাস্তায় বেরিয়ে হয়রানির মুখে পড়তে হয় যাত্রীদের। বেশি ভাড়ায় শাটল ট্যাক্সিতে কর্মস্থলে যেতে বাধ্য হন তাঁরা। গড়িয়া ৬ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে দ্বিতীয় দিনেও সরকারি বাসের দেখা মিললেও বেসরকারি বাস নেই বললেই চলে রাস্তায়। ফলে সরকারি বাসেও ভিড় বাড়ছে যাত্রীদের। বাসের মধ্যে অনেক যাত্রীকে দাঁড়িয়ে থাকতেও দেখা যায়।
বন্ধ লোকাল ট্রেন-মেট্রো। তবে গড়িয়েছে বাসের চাকা। যদিও, যাত্রীদের হয়রানি কমার কোনও লক্ষ্মণ দেখা গেল না। কারণ, সরকারি বাস রাস্তায় নামলেও, সে অর্থে দেখাই গেল না বেসরকারি বাস। ফলে জরুরি কাজের জন্য বেরিয়ে, চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। কোথাও আবার ঝুঁকি নিয়ে বাসের পাদানিতে ঝুলে যেতে হচ্ছে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়। এদিকে ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে অনড় জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট। সরকারি বাস বাড়ানোর আশ্বাস পরিবহণমন্ত্রীর।
গত সোমবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার থেকে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলবে সরকারি ও বেসরকারি বাস। কিন্তু, অধিকাংশ বেসরকারি বাস রাস্তায় না নামায়, কার্যত শিকেয় উঠল সেই সুরক্ষা বিধি। কিন্তু, সরকার নির্দেশ দেওয়ার পরও, কেন রাস্তায় নামল না বেসরকারি বাস? গতকালই জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ডিজেলের যেভাবে দাম বাড়ছে, বাস চালানো সম্ভব নয়, অটো যেমন নিজের ভাড়া নির্ধারন করে, আমাদেরও সেই অনুমতি দেওয়া হোক। বাস চালানো সম্ভব নয়। পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ৪ হাজার সরকারি বাস নামানো হয়েছে, বেসরকারি বাসকেও নামাতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও সরকারি বাস নামানো হবে।