বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি: সংসদ চত্বরে (Parliament Complex) রাজ্যের নিয়োগ-দুর্নীতি নিয়ে বিক্ষোভ (BJP Agitates) সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ও লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। পোস্টার নিয়ে স্লোগান পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সাংসদদের। বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের আজ চতুর্থ দিন। সেদিনও সংসদ উত্তাল হওয়ার সম্ভাবনা। আজকের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার কথা রাহুল গাঁধীর। এর মাঝে সংসদে একলা চলো নীতি নিয়েছে তৃণমূল। আজ নিয়ে পরপর ৩ দিন কংগ্রেসের নেতৃত্বে বিরোধীদের বৈঠকে অংশ নিলেন না তৃণমূল সাংসদরা। গতকাল ১৮টি বিরোধী দলের ইডি অফিস অভিযানেও অনুপস্থিত ছিল তৃণমূল। মূল্য়বৃদ্ধির প্রতিবাদে আলাদাভাবে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তৃণমূল সাংসদরা। ব্রিটেন সফরে মন্তব্যের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করুন রাহুল গাঁধী, দাবি বিজেপির। আদানি ইস্যু থেকে নজর ঘোরাতে এমন আচরণ করছে শাসক দল, অভিযোগ কংগ্রেসের।


কী করল বিজেপি?
গত দুদিন গাঁধীমূর্তির সামনে তৃণমূল ধর্না দিয়েছিল। এদিন পোস্টার-স্লোগানে সরব হতে দেখা গেল বিজেপিকে। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে এদিনের বিক্ষোভে। দিলীপ ঘোষ, সৌমিত্র খাঁ, লকেট চট্টোপাধ্যায়, সুকান্ত মজুমদাররা এই বিক্ষোভে অংশ নেন। মূল প্রশ্ন ছিল একটাই, যেখানে এত বড় দুর্নীতির অভিযোগ সেখানে মুখ্য়মন্ত্রী কেন জবাব দিচ্ছেন না? বিষয়টি নিয়ে যে লোকসভা-রাজ্যসভাতেও বঙ্গ বিজেপি সরব হবে, সে কথাও জানানো হয়েছে। বস্তুত, গত কয়েক দিন ধরেই বিদেশে রাহুল গাঁধীর মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় সংসদ। বিজেপির দাবি, ওয়েনাড়ের সাংসদকে ওই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। সেই দাবি পত্রপাট খারিজ করেছে হাতশিবির।  


কী বলল কংগ্রেস?
'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং যত বার বিদেশে গিয়েছেন, চিন গিয়েছেন, দেশবাসীর সমালোচনা করেছেন', বললেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। তাঁর দাবি, দক্ষিণ কোরিয়া সফরেও ভারতবাসীর 'অপমান' করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, কানাডা সর্বত্রই এক ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ খাড়্গের। সঙ্গে প্রশ্ন, 'আমরা এই দেশে জন্মে কী এমন অপরাধ করেছি?' লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরীর স্পষ্ট বক্তব্য, 'সাহস থাকলে সংসদে আসুন। সেখানে রাহুল গাঁধীও থাকবেন, মোদিজিও থাকুন। দেশবাসী ফয়সালা করবেন, রাহুল ভুল করেছেন কিনা।' 


কী বলেছিলেন রাহুল:
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য রাখার সময় পেগাসাসের (Pegasus) প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কেন্দ্রকে নিশানা করেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ। অভিযোগ করেছিলেন, ভারতীয় গণতন্ত্রের মৌলিক কাঠামোর ওপর আক্রমণ চালানো হয়েছে। তাঁর ফোনে আড়ি পাততে ইজরায়েলি স্পাইওয়্যার পেগাসাস ব্যবহার করা হয়েছে। আরও অনেক রাজনীতিবিদদের ফোনেও পেগাসাস ছিল। রাহুলের দাবি, গোয়েন্দা কর্তাদের একাংশ তাঁকে ফোন করে বলেছিলেন, ফোনে যা বলছেন তা নিয়ে সতর্ক থাকুন, তাঁর ফোন রেকর্ড করা হচ্ছে। ভারতীয় গণতন্ত্রের উপর আঘাত হানা হয়েছে বলেও দাবি করেছিলেন তিনি।


আরও পড়ুন:প্রচণ্ড ব্যস্ত শাহরুখ, তাই দেবই ভরসা! অভিনব প্রস্তাব মমতার