নয়াদিল্লি : আদানি ইস্যুতে যখন বিজেপি সরকারকে কোণঠাসা করতে উঠেপড়ে লেগেছে বিরোধীরা, তখন লোকসভায় পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাক্ষেত্রে ও নিয়োগে দুর্নীতিকে হাতিয়ার করলেন সুকান্ত মজুমদার ( Sukanta Majumdar ) । সংসদে ( Parliament) শিক্ষক-নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে এবার সরব হলেন সুকান্ত মজুমদার। 

'শিক্ষকের চাকরি বিক্রি করা হচ্ছে'


লোকসভায় বাজেট অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'বাংলার শিক্ষকরা একসময় গোটা বিশ্বে শিক্ষা প্রদান করতেন। আজ বাংলায় শিক্ষকের চাকরি বিক্রি করা হচ্ছে'। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, 'শিক্ষামন্ত্রী জেলে, উপাচার্য জেলে, আরও অনেককে যেতে হবে'। সুকান্তর দাবি, 'তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডকেও জেলে যেতে হবে'। তিনি বলেন, 'মোদি সরকারের আমলে দুর্নীতি করলে শাস্তি হবেই' লোকসভায় হুঁশিয়ারি বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের। 

নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। জেলে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। জেলে বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। কেন্দ্রীয় এজেন্সির ব়্যাডারে শাসকদলের একাধিক নেতা। প্রতিদিনই কেন্দ্রীয় এজেন্সির তরফে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ সামনে আসছে। এই পরিস্থিতিতে লোকসভায় তৃণমূলকে কোণঠাসা করতে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগকেই হাতিয়ার করলেন এ রাজ্যের বিজেপির রাজ্য সভাপতি। 

মঙ্গলবার থেকেই সংসদে মহুয়া মৈত্রর  অসংসদীয় মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় সংসদ। মহুয়া ক্ষমা চান, চাইছেন বিজেপি নেতারা। এই পরিস্থিতিতে মহুয়ার মন্তব্য নিয়ে আক্রমণ শানান সাংসদ সুকান্ত মজুমদারও। 


সুকান্তর প্রতিবাদ
কৃষ্ণনগরের সাংসদের এই মন্তব্যের প্রতিবার করে একটি ভিডিও ট্যুইট করে আক্রমণ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ( Sukanta Majumdar ) । তাঁর দাবি, '' ক্ষমা চান মহুয়া মৈত্র', দাবি করেছেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী। এখনও রাজ্য সরকার তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করবে ?' ট্যুইট সুকান্ত মজুমদারের। 'তৃণমূল কংগ্রেস এখনও তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করবে ? নাকি তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ব্যবস্থা নেবে ?', ট্যুইট বিজেপির






আদানি ইস্যুতে বুধবার ফের ধর্নায় বসেন তৃণমূল সাংসদরা। সংসদ মার্গে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার অফিসের সামনে মুখে কালো কাপড় বেঁধে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। অন্যদিকে, আজ সংসদ চত্বরে গান্ধী মূর্তির সামনে বিক্ষোভ দেখান বিরোধীরা। তবে বিক্ষোভে গরহাজির ছিল তৃণমূল।