অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ-রাম জন্মভূমি জমি বিতর্ক মামলায় মূল মামলাকারী পক্ষগুলির অন্যতম ওয়াকফ বোর্ড। তাতে বিভিন্ন পেশার আটজন সদস্য আছেন। আজকের বৈঠকে ছিলেন ৫ সদস্য। বোর্ডের চেয়ারম্যান জফর ফারুকি সাংবাদিকদের বলেন, মসজিদের আয়তন স্থির করা হবে স্থানীয় চাহিদা মাথায় রেখে।
গত বছরের নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট দীর্ঘদিনের ঝুলে থাকা মন্দির-মসজিদ জমি বিতর্কের নিরসন করে অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে ট্রাস্ট গড়ে রামমন্দির নির্মাণের পথ প্রশস্ত করে উত্তরপ্রদেশের পবিত্র শহরের কোনও উল্লেখযোগ্য জায়গায় নতুন মসজিদ তৈরির জন্য সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে ৫ একর জমির বন্দোবস্ত করার নির্দেশ দেয়। শেষ পর্যন্ত বোর্ড ওই জমি গ্রহণ করবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় বজায় ছিল কিছুদিন। শেষ পর্যন্ত আজ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল তারা।
জেলা প্রশাসনের জনৈক কর্তা আগে ধান্নিপুরের জমি প্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন, মসজিদ তৈরির জন্য এটাই সবচেয়ে ভাল জমি, যার বন্দোবস্ত করা সম্ভব হয়েছে। এ মাসের প্রথম দিকে বোর্ডের হাতে জমির অ্যালটমেন্টের চিঠি তুলে দেওয়া হয়েছিল।
ওয়াকফ বোর্ড যে ৫ একর জমির প্রস্তাব স্বীকার করবে, সেটা একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে যায় শীর্ষ আদালতের নভেম্বরের রায় চ্যালেঞ্জ করে পেশ হওয়া যাবতীয় পিটিশন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর। বোর্ডও জানায়, তারা পিটিশন খারিজের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করবে না।
অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সনাল ল বোর্ড ও জামিয়ত উলেমা-ই-হিন্দ যারা আদালতের মুসলিম মামলাকারীদের প্রতিনিধিত্ব করে, মসজিদ তৈরির জন্য ৫ একর জমির প্রস্তাব গোড়াতেই প্রত্যাখ্যান করে।