নয়াদিল্লি: কেন্দ্রের বিতর্কিত কৃষি আইনের প্রতি সমর্থন জানানোর পরপরই বাড়ল সানি দেওলের নিরাপত্তা। বলিউড অভিনেতা তথা গুরদাসপুরের বিজেপি এমপি এবার থেকে ওয়াই ক্য়াটাগরির নিরাপত্তা পাবেন। সর্বক্ষণ তাঁকে ঘিরে থাকবে ১১ জন নিরাপত্তারক্ষীর বলয়, যাঁদের দুজন কম্যান্ডো, বাকিরা পুলিশকর্মী।
কেন্দ্রের তিন কৃষি আইন প্রত্য়াহারের দাবিতে দিল্লির বাইরে জমায়েত করে জাতীয় সড়কে বসে আছেন পঞ্জাব, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের চাষিরা। এই ইস্যুতে সানির স্পষ্ট অবস্থান কী, তা প্রকাশ্যে আসেনি। কেন তিনি নীরব, সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
গত সপ্তাহে তিনি ট্যুইট করে বলেন, সমস্যটা কৃষকদের সঙ্গে সরকারের, কিন্তু কিছু লোক গণ্ডগোল পাকানোর চেষ্টা করছে। ৬৪ বছর বয়সি সানি লেখেন, আমি জানি অনেকেই পরিস্থিতির ফায়দা তুলতে চায়, সমস্যা তৈরি করতে চাইছে। তারা চাষিদের কথা ভাবছে না। তাদের নিজস্ব এজেন্ডা থাকতে পারে। আমি আমার দল, চাষিদের সঙ্গে আছি, সবসময় কৃষকদের সঙ্গেই থাকব। আমাদের সরকার সবসময়ই চাষিদের মঙ্গল, সমৃদ্ধির কথা ভাবে। আমি নিশ্চিত, কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সরকার সঠিক পদক্ষেপই করবে।


চাষিরা কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন এই আশঙ্কায় যে, এতে তাঁরা যে নিশ্চিত ন্যূনতম আয় বা ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (এমএসপি) রক্ষাকবচ পেয়ে আসছেন, তা বন্ধ হয়ে যাবে, তাঁরা বড় কর্পোরেটদের শোষণের মুখে পড়বেন।
তবে সানি মোদি সরকারের পক্ষে দাঁড়ালেও তাঁর বাবা অতীতের বলিউড তারকা ধর্মেন্দ্র, যিনি নিজেও ২০০৪ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত বিজেপি সাংসদ ছিলেন, প্রকাশ্যেই বলেন, আমার কৃষক ভাইদের কষ্ট দেখে কান্না পাচ্ছে। রাজস্থানের বিকানেরের প্রাক্তন সাংসদ, ৮৫ বছরের ধর্মেন্দ্র আগেও ট্যুইট করে দাবি করেছিলেন, সরকারের উচিত দ্রুত সঙ্কট মোচনে উদ্যোগী হওয়া। যদিও ট্রোলিংয়ের মুখে তিনি সেই ট্যুইট মুছে দেন। ধর্মেন্দ্রর স্ত্রী, হেমামালিনী, যিনিও বিজেপি সাংসদ, কিন্তু কৃষক বিক্ষোভের ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছেন।