কলকাতা: ক্রমেই এগিয়ে আসছে সুপার সাইক্লোন আমপান। এখন ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান দিঘা থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দূরে। ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের দূরত্ব ৪৮০ কিলোমিটার। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, কাল বিকেল থেকে সন্ধের মধ্যে দিঘা ও হাতিয়ার মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে সুপার সাইক্লোন। ওই সময় ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার।
দুই ২৪ পরগনা, মেদিনীপুরের পাশাপাশি প্রভাব পড়বে কলকাতাতেও। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। কাল সকাল থেকে কলকাতায় ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩০ কিমি গতিবেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। কাল কলকাতায় বাজার বন্ধের অ্যাডভাইসারি জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। মানুষ যাতে বাইরে না বেরোন, তারও পরামর্শ দিয়েছেন আবহবিদরা।
এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার নবান্নে বিশেষ সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো ঘূর্ণিঝড়। অনেকে বলছেন আয়লার থেকেও ভয়ঙ্কর হবে।
তাঁর পরামর্শ, ‘কাল বাড়ি থেকে কেউ বেরোবেন না। ঘূর্ণিঝড়ে কী হবে, তা কেউ জানে না। এই সময়ে সমুদ্রে কেউ যাবেন না। দুই ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। মেদিনীপুরের একাংশেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে।
তিনি জানান, মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে কাজ করছে টাস্ক ফোর্স। পুলিশ-প্রশাসনের নিচুতলাতেও বার্তা পৌঁছেছে। সাইক্লোন সেন্টারে যতটা সম্ভব সতর্কতা নেবেন। দঃ ২৪ পরগনায় ২ লক্ষ মানুষকে সরানো হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনায় ৫০ হাজার মানুষকে সরানো হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর ৪০ হাজার মানুষকে সরানো হয়েছে। পঃ মেদিনীপুরে ১০ হাজার মানুষকে সরানো হয়েছে।
মমতা বলেন, সংশ্লিষ্ট সব দফতরকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে গিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে বিশেষ যত্ন নিয়ে পদক্ষেপ। ত্রাণশিবির থেকে কেউ বাইরে বেরোবেন না। বাড়ি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকলে শিবিরে আসুন। সবার কাছে আমরা সহযোগিতা চাইছি। দুর্যোগ চলাকালীন পরিযায়ী শ্রমিকদের পাঠাবেন না।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে রাখেন, আমপান পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কথা হয়েছে। বলেন, ঝড় থামার পরেই বাড়ি থেকে বেরোবেন না। বৃহস্পতিবার প্রশাসন বলার পরে বাইরে বেরোন।
এদির রাজ্য সরকারের হেল্পলাইন নম্বর জানিয়ে দেন মমতা। বলেন, ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুমের টোল ফ্রি নম্বর ১০৭০। কন্ট্রোল রুমের নম্বর ০৩৩-২২১৪-৩৫২৬ ও ০৩৩-২২১৪-১৯৯৫।