নয়াদিল্লি: ভারতের কৃষক আন্দোলন নিয়ে নিজের অবস্থানে অনড় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।  ট্রুডোর বক্তব্যের বিরুদ্ধে কানাডার হাই কমিশনারকে তলব করে শুক্রবারই ভারত সরকার অসন্তোষ জানায়। কিন্তু ট্রুডো বুঝিয়ে দিলেন, তিনি নয়াদিল্লির আপত্তি গায়েই মাখছেন না। গোড়ার বক্তব্য়ের প্রতিধ্বনি করে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে শান্তিপূর্ণ অবস্থানকে সমর্থন করবে কানাডা।



পঞ্জাব, হরিয়ানা সহ উত্তর ভারতের কৃষকরা সংসদে পাশ হওয়া তিনটি কৃষিবিল প্রত্যাহারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন। দিল্লির বুকে চলা কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। দিনকয়েক আগে এক ভিডিও বার্তায় তিনি কৃষকদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয় কেন্দ্রীয় সরকার। এবিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকে সমর্থন করবে কানাডা। আমরা আন্দোলনের শান্তিপূর্ণ চেহারা দেখে সন্তুষ্ট। এদিকে এতে কূটনৈতিক সম্পর্ক নষ্ট হচ্ছে বলে শুক্রবার কানাডার রাষ্ট্রদূতকে তলব করে জানিয়ে দেয় বিদেশমন্ত্রক।  ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষতি হওয়ার হুঁশিয়ারি নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে ট্রুডো বলেন, কানাডা সবসময়ই  দুনিয়ার যে কোনও জায়গায় শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের অধিকারের পক্ষে থাকবে।  আর আমরা এটা দেখে খুশি যে, উত্তেজনা হ্রাস ও আলোচনার লক্ষ্যে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।



কেন্দ্রের ৩ কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন হাজার হাজার কৃষক। দিল্লিতে ঢোকার আগে পুলিশ পথ আটকায়। তাদের বক্তব্য সংশ্লিষ্ট আইনগুলি বাতিল করতে হবে। গত সপ্তাহ থেকে দফায় দফায় কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। কিন্তু মেলেনি কোনও সমাধান সূত্র। এই নিয়ে টুইটারে ভিডিও বার্তা দেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। এই প্রতিবাদ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। আবেদন জানান, কৃষকদের শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করতে দেওয়া উচিত।


 

মূলত পঞ্জাবের শিখরা এই আন্দোলনের সামনের সারিতে আছে। যারা কানাডায় সংখ্যালঘু বলে পরিচিত। এদিন বিবৃতি জারি করে ভারতের বিদেশমন্ত্রক বলে, অযাচিত হস্তক্ষেপের জন্য কানাডাকে সমন পাঠানো হয়েছে।  এই আচরণ চলতে থাকলে ভারত এবং কানাডার সম্পর্ক নষ্ট হবে। আমরা আশা করব কানাডা সরকার ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষায় সাহায্য করবে। কৃষকদের সমর্থন করার জন্য কানাডার প্রধানমন্ত্রী  ‘অপরিণত রাজনীতিক’ আখ্যা দিয়েছেন দেশের প্রাক্তন বিদেশসচিব কানওয়াল সিবল।