নয়াদিল্লি: গত সাত-আট মাস ধরে একটানা কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিত্সা করে চলা ডাক্তারদের সাময়িক রেহাই দেওয়া যায় কিনা, কেন্দ্রকে বিবেচনা করে দেখতে বলল সুপ্রিম কোর্ট। করোনাভাইরাস আক্রান্তদের সঠিক চিকিত্সা ও হাসপাতালে করোনায় মৃতদের দেহ যথেষ্ট মর্যাদা সহকারে শেষকৃত্যের ব্যাপারে এক স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানির সময় বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি আর এস রেড্ডি ও বিচারপতি এম আর শাহকে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ ডাক্তারদের সাময়িক বিশ্রাম দেওয়ার সুপারিশ খতিয়ে দেখতে বলেছে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে।
তাঁকে বেঞ্চ বলে, গত সাত-আট মাস ধরে ডাক্তাররা কোনও বিরতি পাননি, লাগাতার কাজ করেই চলেছেন। আপনারা এই নির্দেশ মেনে ভেবে দেখুন, ওঁদের কিছুটা বিরতি দেওয়া যায় কিনা। এটা খুবই যন্ত্রণাময়, ওঁদের মানসিক স্বাস্থ্য়ের ক্ষতি হচ্ছে। মেহতা বেঞ্চকে আশ্বস্ত করে বলেন, সরকার কোভিড-১৯ ডিউটিতে নিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের সাময়িক বিরতি দেওয়ার প্রস্তাব বিবেচনা করবে।
এছাড়া বেঞ্চ গুজরাত সরকার মাস্ক না পরায় প্রায় ৯০ কোটি টাকা জরিমানা ধার্য্য করলেও কোভিড-১৯ সংক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে সঠিক ব্যবহার, আচরণ সংক্রান্ত গাইডলাইন মানতে লোকজনকে বাধ্য করতে না পারায় বিস্ময় প্রকাশ করে। মেহতা বলেন, ৫০০ কোটি টাকা ধার্য্য করা হয়েছে মাস্ক না পরার মোকাবিলা করতে নয়। বেঞ্চ বলে, মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলার বিধি রূপায়ণের কী হবে।
এর আগে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, প্রকাশ্য স্থানে ফেস মাস্ক পরার কোভিড-১৯ সংক্রান্ত গাইডলাইন লোকজন লঙ্ঘন করছে, সামাজিক দূরত্ববিধি সংক্রান্ত নিয়মকানুনও মানছে না। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে লোকজন যাতে কঠোরভাবে নিয়ম মেনে চলে, তা নিশ্চিত করতে না পারায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেও তিরজ্স্কার করে শীর্ষ আদালত, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলিকেও সুপারিশ পাঠাতে বলে যাতে এইসব গাইডলাইন রূপায়ণে যথাযথ নির্দেশ জারি করা যায়।
গুজরাত হাইকোর্ট মাস্ক না পরায় হাতেনাতে ধরা পড়া লোকজনকে শাস্তি হিসাবে কোভিড-১৯ চিকিত্সা কেন্দ্রে রোগীদের সেবা করার যে নির্দেশ দিয়েছিল, তার ওপর আগেই স্থগিতাদেশ জারি করেছে সর্বোচ্চ আদালত।