নয়া দিল্লি : সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করতে প্রধান বিচারপতির কাছে জোর ধমক খেলেন এক আইনজীবী। একটি মামলার শুনানি চলাকালীন একটি ভাষা প্রয়োগে ওই আইনজীবীর ওপর বেজায় চটে যান  ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। আইনজীবীকে স্পষ্ট বলে দেন ওই শব্দে আমার অ্যালার্জি আছে।


সোমবার শীর্ষ আদালতে  একটি মামলা চলছিল। আইনজীবী  ৬ বছর আগের একটি মামলার উল্লেখ করে সওয়াল করছিলেন। আইনজীবী ২০১৮ সালের একটি মামলায়  সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে বিবাদী পক্ষ হিসাবে যুক্ত করতে চান।  তখনই বিচারপতি বিরক্ত হয়ে জিগ্যেস করেন, কীভাবে কোনও জনস্বার্থ মামলায় কোনও বিচারপতিকে যুক্ত করা যেতে পারে ? তাঁর তো কিছু মর্যাদা আছে। 


বিচারপতি প্রশ্ন করেন,  'আপনি একজন বিচারকের বিরুদ্ধে ইন-হাউস তদন্ত চাইতে পারেন না। বিচারপতি রঞ্জন গগৈ সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ছিলেন। তিনি ভারতের প্রধান বিচারপতি হিসাবে অবসর নিয়েছেন। আপনি বলতে পারবেন না আমি একজন বিচারপতির বিরুদ্ধে ইন-হাউস তদন্ত চাই কারণ আপনি তাঁর বেঞ্চে মামলা করে সফল হননি। দুঃখিত, আমরা এটি বরদাস্ত করতে পারি না' 


ওই আইনজীবী  জানান, তিনি ২০১৮ সালের একটি মামলায় একটি বিবৃতিকে বেআইনি বলে আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। সেই সময় বিচারপতি গগৈ ওই বিবৃতির উপর ভিত্তি করেই সেই মামলাটি খারিজ করে দেন। তারপর তিনি আবার তৎকালীন  প্রধান বিচারপতি টিএস ঠাকুরের কাছে তাঁর মামলাটি পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন ও মামলাটি অন্য বেঞ্চে পাঠানোর আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সেটা করা হয়নি। তাঁকে বরখাস্তও করা হয়। এরপর বিচারপতি চন্দ্রচূড় স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন এই   মামলার আবেদন থেকে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি গগৈয়ের নাম বাদ দিতে হবে।


পুণের ওই আইনজীবী সওয়াল জবাবের সময় বলেন, ইয়া ইয়া ! একথা বলতেই আরও চটে যান বিচারপতি। তিনি বলেন, 'এটা কি ইয়া-ইয়া ! এই কফি শপ না। এই ইয়া ইয়া-তে আমার খুব অ্যালার্জি। ' 


ইংরেজি ভাষায় কথা বলার সময় Yes শব্দটিকে ছোট করে অনেক সময়ই ইয়া - ইয়া বলা হয়ে থাকে। এটি একেবারেই কথ্য ভাষা। কিন্তু আদালতে এই ভাষা ব্যবহারের অনুমতি দেননি বিচারপতি। তিনি এই শব্দটি আদালতে শুনে চূড়ান্ত বিরক্তি প্রকাশ করেন। তিনি ভর্ৎসনা করে বলেন, এটা আদালত , ক্যাফে নয় !