নয়া দিল্লি : কোভিডে মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে গাইডলাইন তৈরির নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। কেন্দ্রকে গাইডলাইন তৈরি করতে বলল শীর্ষ আদালত। এর পাশাপাশি কী পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেওয়া যেতে পারে তা খতিয়ে দেখার জন্য জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে তিন বিচারপতির বেঞ্চ। যার মাথায় রয়েছেন বিচারপতি অশোক ভূষণ।


সম্প্রতি করোনায় মৃত পরিবারগুলিকে চার লক্ষ টাকা করে সাহায্য ও এই মারণ ভাইরাসে মৃতের সার্টিফিকেট দেওয়ার ক্ষেত্রে অভিন্ন নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে কেন্দ্রের জবাব জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি অশোক ভূষণ ও বিচারপতি এমআর শাহর ভ্যাকেশন বেঞ্চ করোনায় মৃতদের সার্টিফিকেট দেওয়ার ক্ষেত্রে আইসিএমআরের নির্দেশিকা জমা দিতে বলেছিল। আদালত বলেছিল, এ ব্যাপারে অভিন্ন নীতি থাকা দরকার। ২০০৫-এর বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের সংস্থান অনুযায়ী, করোনায় মৃতদের পরিবারগুলি চার লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দেওয়ার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন দায়ের হয়েছিল। সেইসঙ্গে ডেথ সার্টিফিকেটের ক্ষেত্রে অভিন্ন নীতির আর্জি জানিয়েও একটি পিটিশন দায়ের হয়েছিল। এই দুটি পৃথক পিটিশনের শুনানিতে কেন্দ্রের কাছে জবাব চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।


এর ভিত্তিতে শীর্ষ আদালতে মোদি সরকারি জানিয়েছিল, করোনায় সব মৃতের পরিবারকে ৪ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব নয়। কারণ এটা শুধুমাত্র জাতীয় বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ে। কেন্দ্র আরও বলেছিল, ভাইরাসে ৩.৮৫ লক্ষর বেশি মানুষ ইতিমধ্যেই মারা গেছেন। এবং লকডাউনের কারণে এমনিতেই রাজ্যগুলি তীব্র আর্থিক সংকটের মুখে রয়েছে।


এই পরিস্থিতিতে আজ শীর্ষ আদালত দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দেয়, করোনায় মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এক্ষেত্রে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষকে ছয় সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে তারা ক্ষতিপূরণের পরিমাণ এবং প্রয়োজনীয় গাইডলাইন ঠিক করবে। এর পাশাপাশি শীর্ষ আদালতের তরফে আরও বলা হয়, করোনায় যাঁরা মারা গেছেন, তাঁদের সার্টিফিকেটে তারিখ এবং মৃত্যুর কারণ উল্লেখ থাকতে হবে।